
Jahangir Alam
|加入者
最新の動画
গ্রামের আঞ্চলিক বিয়ে। ছোট বাচ্চাদের নাচ, গান।
ছিনতাই কারী নিজ মুখে স্বীকার করেছে আর ছিনতাই গাজীপুর হবে না।
গাজিপুরে চলছে কিশোর গ্যাং এর ছিন্তাই,চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসি কার্যকলাপ
গাজীপুরের পুবাইল থানার মিরের বাজারে ভুয়া পুলিশ পরিচয়ে ৬ যুবক আটক, আটককৃতদের কাছ থেকে পুলিশের ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি পাওয়া গিয়েছে
জাহাঙ্গীর আলম
গাজীপুরের টঙ্গী ব্রীজে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩৫ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে চালকসহ নারী, পুরুষ ও শিশু রয়েছে।
গাজীপুরের টঙ্গী ব্রীজে আজ দুপুরে দুই বাসের সংঘর্ষে ৩৫ জন আহত হয়েছেন। এই দুর্ঘটনা ঘটে যখন দুইটি বাসই অতিরিক্ত গতিতে চলছিল এবং নিয়ন্ত্রণ হারায়। দুর্ঘটনার ফলে বাসের সামনের অংশ সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আহতদের মধ্যে দুই বাসের চালকসহ নারী, পুরুষ ও শিশুরা রয়েছেন। তাদের টঙ্গী সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বাস দুটি বিপরীত দিক থেকে আসছিল এবং স্পিড অতিক্রম করার সময় মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঈদের ছুটি উপলক্ষে যাত্রীরা বাড়ি ফিরছিলেন, এবং এই সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে। যাত্রীরা জানান, দুর্ঘটনার সময় বাসগুলো অতিরিক্ত ভরতি ছিল এবং চালকদের মাঝে কোনো প্রকার সমন্বয় ছিল না।
গাজীপুর ট্রাফিক পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, "বাস দুটির গতি সীমার বাইরে ছিল এবং চালকরা কোনো প্রকার সতর্কতা অবলম্বন করেনি। আমরা দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করছি এবং বাসগুলোর মালিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা একটি সাধারণ সমস্যা, বিশেষ করে উৎসবের মৌসুমে। বিশ্লেষকরা বলছেন, সড়ক নিরাপত্তা বাড়াতে সরকারের আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। সড়কের অবকাঠামো উন্নত করা এবং চালকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
এই দুর্ঘটনার ফলে স্থানীয় জনগণের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে এবং তারা সড়ক নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে। অনেকেই মনে করেন, সড়কে নিয়মিত পুলিশি টহল বাড়ানো এবং চালকদের লাইসেন্স যাচাই করা হলে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব।
এদিকে, ঈদের সময়ে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা কমাতে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধুমাত্র আইন প্রয়োগ করলেই চলবে না, জনগণের মধ্যেও সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
মানুষ জীবনের ঝুকিঁ নিয়ে তবুও বাড়ীর পথে নারীর টানে। প্রিয়োজন কে সাথে নিয়ে প্রিয়োজনের কাছে গিয়ে ঈদ করার উদ্ধেশ্য বাড়ির পথে চললো। কত মানুষ জীবনের ঝুকিঁ নিচ্ছে।
বিশ্ব পরিবেশ দিবস: প্লাস্টিক দূষণ রোধে বৈশ্বিক উদ্যোগ (World Environment Day: Global initiative to c
বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে প্লাস্টিক দূষণের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী সচেতনতামূলক কার্যক্রমের ওপর গুরুত্বারোপ।
বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৫ উপলক্ষে সারা বিশ্বে পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম আয়োজন করা হচ্ছে। এ বছরের থিম 'প্লাস্টিক দূষণের অবসান', যা প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করতে এবং এই দূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে উৎসাহিত করবে।
বিশ্ব পরিবেশ দিবস প্রতি বছর ৫ জুন পালিত হয়। ১৯৭২ সালের ৫-১৬ জুন জাতিসংঘের সাধারণ সভায় 'মানবিক পরিবেশ সম্মেলন' এর আয়োজনের মাধ্যমে এর সূচনা হয়। ১৯৭৪ সালে প্রথম এই দিবসটি অনুষ্ঠিত হয়। এর পর থেকে প্রতি বছর ভিন্ন ভিন্ন থিমের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন শহরে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
এই দিবসের মূল লক্ষ্য হল পরিবেশ সুরক্ষায় জনসাধারণকে সচেতন করা এবং পরিবেশের অবক্ষয় রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে উৎসাহিত করা। বর্তমানে বিশ্বের ১৪৩টি দেশে এই দিবসটি পালিত হয়।
১. প্লাস্টিক দূষণ: প্লাস্টিক দূষণ বর্তমান বিশ্বের অন্যতম প্রধান পরিবেশগত সমস্যা। প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক বর্জ্য জমা হচ্ছে যা মাটি, জল এবং বায়ুকে দূষিত করছে। এ বছর বিশ্ব পরিবেশ দিবসের থিম প্লাস্টিক দূষণের অবসান, যা প্লাস্টিক দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব এবং এর মোকাবেলা করার জন্য সচেতনতা বাড়াতে সাহায্য করবে।
২. জলবায়ু পরিবর্তন: জলবায়ু পরিবর্তন এবং বৈশ্বিক উষ্ণতা বর্তমান বিশ্বে পরিবেশগত সমস্যাগুলির মধ্যে অন্যতম। এ নিয়ে বিভিন্ন দেশ সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য নানা উদ্যোগ নিচ্ছে। পরিবেশ সুরক্ষায় গাছ লাগানো, পুনর্ব্যবহারযোগ্য পণ্য ব্যবহার এবং শক্তি সঞ্চয়ী প্রযুক্তি ব্যবহার সহ বিভিন্ন ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে মানুষকে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
৩. জনসাধারণের ভূমিকা: পরিবেশ সুরক্ষায় জনসাধারণের ভূমিকা অপরিসীম। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কিছু ছোট ছোট পরিবর্তন এনে আমরা পরিবেশের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারি। যেমন- প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানো, বিদ্যুৎ সঞ্চয় করা এবং জ্বালানি সাশ্রয়ী যানবাহন ব্যবহার করা।
বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন দেশ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সচেতনতা বৃদ্ধি এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে আমরা পরিবেশ সুরক্ষায় সফল হতে পারব। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পৃথিবীকে একটি বাসযোগ্য স্থান হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব।