
MD ABDULLAH
|Subscribers
Breaking news
বাগেরহাটে ৪টি আসন বহালের দাবিতে জেলায় হরতাল ও সড়ক অবরোধ, অচল যোগাযোগ ব্যবস্থা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল মৎস্যভান্ডার নামে খ্যাতবিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের উপকূলেরবাগেরহাটে ৪টি সংসদীয় আসন বহাল রাখার দাবিতে জেলা জুড়ে সড়কপথ অবরোধ ও হরতাল শুরু হয়েছে। পূর্ব নির্ধারিত সময় আজ রবিবার(২৪ আগস্ট) সকাল ৮টায় খুলনা বাগেরহাট মহাসড়কের কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে, খুলনা-মাওয়া মহাসড়কের নওয়াপাড়া, কাটাখালি, মোল্লাহাট সেতু, বাগেরহাট পিরোজপুর মহাসড়কের সাইনবোর্ড বাজার, খুলনা মোংলা মহাসড়কের ফয়লা, মোংলা বাসস্ট্যান্ডসহ জেলার অন্তত দশটি স্থানে সড়কের উপর গাড়ি ও বেঞ্চ রেখে অবরোধ করছেন সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা। এতে বাগেরহাট জেলার অন্য সকল স্থানের যোগাযোগ কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া ব্যবসায়ী ও দোকানদাররা স্বতস্ফূর্তভাবে দোকানপাট বন্ধ রেখেছেন।
বাগেরহাট সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা জামাতের সেক্রেটারি শেখ মোহাম্মাদ ইউনুস বলেন, বাগেরহাটে চারটি আসন বহাল রাখার দাবিতে আমরা গেল ৩০ জুলাই তিনটি আসনের প্রস্তাব দেওয়ার পর থেকে বাগেরহাটে আন্দোলন করে আসছি। কখনো সংবাদ সম্মেলন, কখনো রাজপথ অবরোধ আবার নির্বাচন অফিসে অবস্থান কর্মসূচি ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। এরপরেও নির্বাচন কমিশন তাদের প্রস্তাব থেকে ফিরে আসেনি। যার কারণে আমরা আজকে সর্বত্র অবরোধ ও হরতালের ডাক দিয়েছি। জেলার সর্বস্তরের জনগণ আমাদের দাবির স্বপক্ষে অবস্থান নিয়ে হরতাল ও অবরোধ সফল করছেন। কোন দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলছে না। মোংলা বন্দর এলাকারও বেশিরভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। যান চলাচল বন্ধ। আশা করি নির্বাচন কমিশন আমাদের দাবি মেনে নিবে। তা না হলে এর থেকে আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
গেল ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশনের বিশেষ কারিগরি কমিটি বাগেরহাট জেলার চারটি আসন কমিয়ে তিনটি আসন করার প্রস্তাব দিলে জেলা সকল রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই প্রস্তাব বাতিল ও চারটি আসন বহাল রাখার দাবিতে আন্দোলন শুরু করে।
আসন কমানো অথবা বহাল রাখার বিষয়ে ২৫ আগস্ট নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
খুলনার ময়লাপোতায় বিপজ্জনক সড়ক, প্রতিনিয়ত ঝুঁকিতে পথচলা
খুলনার ময়লাপোতা এলাকার একটি সড়ক অংশ এখন চরম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। খানাখন্দে ভরা এ রাস্তায় একটু এদিক-ওদিক হলেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিছলে যেতে পারে যানবাহনের চাকা। ৩০ কিলোমিটার গতিতে ধাক্কা খেলে মনে হবে যেন ৬০ কিলোমিটার গতিতে ধাক্কা খাচ্ছে—আঘাত কতটা ভয়ানক হতে পারে, তা সহজেই অনুমান করা যায়। সড়কটির এমন ভয়াবহ অবস্থায় প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনার আশঙ্কায় থাকেন পথচারী ও যানচালকরা।
*নরসিংদীতে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি: পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ২, দ্রুত বিচার আইনে মামলা*
নরসিংদীতে সড়কে প্রকাশ্যে যানবাহন থামিয়ে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। অভিযানের প্রথম দিনেই দুইজনকে গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রবিবার সকালে জেলা পুলিশের উদ্যোগে সদরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের নাম-পরিচয় এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শামীম আনোয়ার বলেন,
> “নরসিংদীকে চাঁদাবাজিমুক্ত ঘোষণা করতে আমরা কাজ শুরু করেছি। কোনো প্রভাবশালী বা দলীয় পরিচয়ে কেউ রেহাই পাবে না। অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে কিছু চক্র মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে যানবাহন থামিয়ে অবৈধভাবে টাকা আদায় করছিল। এতে পরিবহন ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিলেন এবং যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়ছিল।
এদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হঠাৎ এ অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছে সাধারণ মানুষ। তারা মনে করেন, সঠিকভাবে অভিযান চললে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে এবং পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির দৌরাত্ম্য কমবে।