ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!
Celana pendek Membuat
পাবনা শহরে বৃষ্টি বিলাস
পাবনার আকাশে যখন বাদল নামে, শহর যেন এক নতুন রূপে সেজে ওঠে। রিকশার ছাতার নিচে চুপচাপ বসে থাকা মানুষ, চায়ের দোকানে ধোঁয়া ওঠা কাপে জীবনের যত কথা—সব মিলিয়ে এক নিঃশব্দ আনন্দে শহরটা যেন ভিজে যায়। শহরের পুরাতন মসজিদ আর চারুকলার পুকুরঘাটে বৃষ্টির ফোঁটায় পড়ে এক অপূর্ব শব্দজাল বুনে দেয় প্রকৃতি।
শালগাড়িয়ার পথ, কলেজ মোড়, অথবা টাউন হল—যেখানেই চোখ যায়, বৃষ্টির ছোঁয়ায় মানুষ যেন নিজের ভেতরের ক্লান্তি ধুয়ে ফেলে। তরুণ-তরুণীদের ভেজা হেঁটে যাওয়া, বৃষ্টিতে শিশুদের উল্লাস, আর ভিজে যাওয়া কাঁথা মোড়ানো বৃদ্ধার জানালায় চেয়ে থাকা—সব মিলিয়ে এক বৃষ্টিমগ্ন চিত্রপট তৈরি হয়।
পাবনার বৃষ্টি যেন শুধুই ভেজায় না, মনে জমে থাকা পুরোনো স্মৃতিগুলোও জাগিয়ে তোলে। কারো কাছে তা প্রেমের প্রথম চিঠির মতো, কারো কাছে হারানো সময়ের গন্ধ।
এটাই তো পাবনা শহরের বৃষ্টি বিলাস—নিঃশব্দে অনুভবের জলছবি।
মতলব উত্তরে বরোপিট দখল করতে এসে
বাড়ি ঘরে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ
শহিদুল ইসলাম খোকন :
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বরোপিট (ফিসারী) দখল করতে এসে প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার ৫ এপ্রিল দুপুরে উপজেলার গজরা ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, কৃষ্ণপুর গ্রামের পশ্চিম পাড়া প্রধান বাড়ি সংলগ্ন পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি বরোপিট আছে, যা এলাকার ৩০ জন লোক মিলে একটি সমিতি ঘটনা করে, ২০ বছর আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে লিজ নিয়ে মাছ চাষ করতো।
২০০৯ সালে ঐ লিজের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে গনি প্রধান জোর করে সে একাই বরোপিট ভোগ করতো। কিন্তু ৫ আগষ্টেরপর আবার সবাই মিলে ঐ ৩০ পরিবার ভোগ করতে চাইলে গনি প্রধান তাতে রাজি হয়নি। এই নিয়ে গত ৭ মার্চ তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে স্থানীয়রা মিলে ঐ ৩০ পরিবারকে ভোগ করার সিদ্ধান্ত দেয়। গনি প্রধান স্থানীয়দের কথা অমান্য করে জোর করে আবার দখল, হামলা ও লুটপাট করে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আলী আরশাদের ছেলে আনিছ প্রধান বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৫ এপ্রিল শনিবার দুপুরে গনি প্রধান ও মামুন মনিরের হুকুমে,গনির ছেলে ছেলে রাহাত, জাহিদ, উত্তর লুধুয়ার আকাশ ও জিহাদ সহ আরো অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জন মিলে বরোপিটের সাইনবোর্ড ভেঙ্গে এবং আরশাদ আলীর ঘরে হামলা, ভাংচুর, মোবাইল, স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ লুটপাট করে।
আলী আরশাদের স্ত্রী জয়নব বেগম, তার ছেলে আনিছ ও মাহফুজ বলেন, গণি প্রধানের নির্দেশে তার দুই ছেলে রাহাত, জাহিদ, গজরার মামুন মনির ও উত্তর লুধুয়া থেকে লোক ভাড়া করে এনে আমাদের বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা করে। ঘরের সমস্ত আসবাবপত্র ভেঙে ফেলে এবং ঘরে থাকা নগদ ২ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার ও মোবাইল নিয়ে যায়। ককটেল বোমা নিয়ে এসে আমাদেরকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় এবং দুই বৃদ্ধ মহিলাকে মারধর করেছে।
এ বিষয়ে গনি প্রধান বলেন, হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেনি। পূর্বে আমি লিজ এনেছিলাম। বর্তমানে লিজ দেওয়া বন্ধ থাকায় নতুন করে লিজ আনতে পাড়িনি।
এ ঘটনার পর মতলব উত্তর থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।




