লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!
شلوار کوتاه ایجاد کردن
সংঘর্ষের পর কালীগঞ্জে পরিবার ঘরছাড়া১৫০০, ৩ নং নম্বর কোলা ও ২ নং জামাল ইউনিয়ন
সংবাদ সম্মেলনে দাবি
কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার নাকোবাড়িয়া এলাকায় গত ১ জুন আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে দুজন নিহত হন। এর পর পর থেকেই জামাল ইউনিয়নের ২০টি গ্রামে দুই শতাধিক বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনা নিয়ে গতকাল বুধবার সকালে শহরের নলডাঙ্গা সড়কে বিএনপির নির্বাচনী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে উপজেলা বিএনপি। এতে দাবি করা হয়, ইউনিয়নটির ২০টি গ্রামের ১ হাজার ৫০০ পরিবার বর্তমানে ঘরছাড়া।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইলিয়াস রহমান মিঠু বলেন, গত ৩০ ও ৩১ মে জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে দুদিনের কর্মসূচি নেয় স্থানীয় বিএনপি। ২নং জামাল ইউনিয়নও কর্মসূচি নেয়। কিন্তু কর্মসূচিতে বাধা দিতে আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম মোল্লা ও ৪ আগস্ট বিএনপি কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ মামলার আসামি আলাউদ্দিন আলা এবং সাবেক
জামায়াত নেতা ইউনুস আলীর নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্রসহ মোটরসাইকেলে মহড়া দিয়ে এলাকায় ত্রাসের সৃষ্টি করে।
তিনি বলেন, ৩১ মে রাতে উপজেলার নাকোবাড়িয়া গ্রামে দফায় দফায় তারা মিটিং করতে থাকে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর আক্রমণ করার জন্য। বিষয়টি বিএনপি নেতারা ওসিকে জানালেও তিনি আমলে নেননি। রাত ।। রাত থেকে শুরু করে সংঘর্ষের দিন সকাল ৭টা পর্যন্ত দফায় দফায় প্রশাসনের শরণাপন্ন হওয়া সত্ত্বেও কোনো সহযোগিতা পাইনি। সহযোগিতা পেলে ও পুলিশ মোতায়েন করলে এই সংঘর্ষ এড়ানো যেত।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম সাইদুল, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন, মোশাররফ হোসেন, জবেদ আলী, মোহাম্মদ আলী
জিন্নাহসহ অন্যরা।
অভিযোগের বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, সংঘর্ষের ঘটনা আগে থেকে কোনোকিছুই আমরা জানি না। জানামাত্রই আমি ফোর্স নিয়ে সকাল ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে যাই।
মোঃ বাপ্পারাজ খান (পাংশা প্রতিনিধি)
সার সংকটে যখন রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের কৃষকেরা দিশেহারা, ঠিক তখনই ২৬ বস্তা ডি এ পি সার শৈলকুপা উপজেলায় পাচার করা কালে কৃষকের হাতে আটক।
(২৮ আগস্ট ) বৃহস্পতিবার রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের কেয়াগ্রাম খুলুমবাড়ী খেয়াঘাট দিয়ে দুটি ভ্যান গাড়িতে ২৬ বস্তা ডি এ পি সার নিয়ে গড়াই নদীর খেয়া ঘাটপার হয়ে খুলুমবাড়ী বাজারের দিকে যাচ্ছে দেখে ঐ এলাকার কৃষকেরা স্থানীয় সাংবাদিক ও পাংশা উপজেলা প্রেসক্লাবের সদস্য মোঃ বাপ্পারাজ খান'কে খবর দেন।মোঃ বাপ্পারাজ খান তাৎক্ষণিক খেয়াঘাট এলাকায় গিয়ে ভ্যান চালকের কাছে জানতে চাইলে, তারা জানান এই সার বাগলী বাজার জাহিদ বিশ্বাস এর গোডাউন থেকে এনেছি। কোথায় নিচ্ছেন জানতে চাইলে ভ্যানচালক জানান, খুলুমবাড়ী বাজারে সাম কুন্ডুর ঘরে যাবে।
ঐ সাংবাদিক বিষয়টি জানতে তাৎক্ষণিক মুঠোফোনে সার এর ডিলার জাহিদ বিশ্বাস'কে ফোন দিলে তিনি প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে নিজের ভুল স্বীকার করেন।
তখন ঐ সাংবাদিক তাৎক্ষণিক নিজের ফেসবুক আইডি থেকে সার বোঝাই ভ্যানগাড়ীসহ একটি পোষ্ট দিলে বিষয়টি পাংশা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার নজরে আসে। পাংশা উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সোলাইমান হোসেন ও মোঃ রফিকুল ইসলাম ও কসবামাজাইল ইউনিয়ন কৃষি কর্মকর্তা আবু হেনা মোস্তফা দ্রুত ঘটনা স্থলে পৌছে সার বোঝাই ভ্যানগাড়ী আটক করে বাগলী বাজারে জাহিদ বিশ্বাসের দোকানে নিয়ে আসেন।
সন্ধ্যায় পাংশা উপজেলা প্রেসক্লাবে আরেক সাংবাদিক রবিউল ইসলাম বাগলী বাজারে গিয়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে, তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ঐ সাংবাদিক'কে জানান, আমরা বিষয়টি আপাতত ক্ষমার চোখে দেখতে চাই। আপনারা ফেসবুক আইডি থেকে স্টাটাস তুলে নিন। তার কথায় ঐ সাংবাদিক রেগে গেলে, তখন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সোলাইমান হোসেন কথার প্রঙ্গ পাল্টিয়ে বলেন, আমরা অবশ্যই ডিলার জাহিদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করব।
এ বিষয়ে কসবামাজাইল ইউনিয়নের ভুক্তভোগী কৃষক তরুন জানান, জাহিদ বিশ্বাস দীর্ঘ ১০/১৫ বছর যাবৎ সারের ডিলারী করছেন। এখনো কিভাবে তার ডিলারী থাকে? মতিন, রতন, আরিফ, ও শিবলু আরো অন্যান্য ব্যক্তিরা জানান আমরা সার আনতে গেলে সার দেয় না। আরো বলেসার এখন নাই তা ছাড়া ও জাহিদ বিশ্বাস সার বিক্রি করে বস্তুা প্রতি ২০০থেকে ৩০০ টাকা বেশি দরে সার ডিলার জাহিদ বিশ্বাস নিজ ইউনিয়ন বাদ দিয়ে সার বিক্রি করেন সরিষা ইউনিয়নের বাগলী বাজারে। কসবামাজাইল ইউনিয়নের কৃষকেরা সার আনতে বাগলী বাজারে গেলে, ডিলার সার নেই বলে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে খালি হাতে ফেরত দেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কৃষক জানান, জাহিদ বিশ্বাস দীর্ঘদিন ধরেই সার নিয়ে নয় ছয় করে আসছেন। আমরা তার ডিলারী বাতিল করতে অবিলম্বে নতুন ডিলার চাই।




