ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!
Corti Creare
চাঁদপুরের কচুয়া ৩৮ টি পূজা মন্ডপে শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গাপূজা সার্বজনীনভাবে উদযাপন করছে কচুয়ার হিন্দু সম্প্রদায়। বুধবার ১ অক্টোবর কচুয়ার পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মহসিন উদ্দিন, সেনাবাহিনীর ল্যাপটেন্যান্ট কর্নেল মোয়াজ্জেম হোসেন , চাঁদপুরের পুলিশ সুপার আব্দুল রকিব, উপজেলা নির্বাহী অফিসার হেলাল চৌধুরী, ওসি আজিজুল ইসলাম, বিএনপি মোশারফ গ্রুপের সেক্রেটারি মনজুর আলম সেলিম, পৌর সভাপতি হাবিবুল্লাহ হাবিব, বিএনপির মিলন গ্রুপের সমন্নয়ক শাহাজালাল প্রধান, বিএনপির আরেক গ্রুপের কচুয়া থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান, জামায়াত ইসলামী কচুয়ার পৌর আমির অধ্যক্ষ মাওলানা শাহ মোহাম্মদ জাকিরুল্লাহ শাজুলী, আট নাম্বার ইউনিয়ন সেক্রেটারি মাওলানা আরিফ হোসেন, জামাতের পৌর নেতা শহিদুল ইসলাম খানসহ মুসলিম ও হিন্দু সম্পরদায়ের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। কোয়া পোদ্দার বাড়ি পূজা মণ্ডপ কমিটির সভাপতি সাংবাদিক প্রিয়তোষ পোদ্ধারের পরিচালনায় পূজা মন্ডপে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা পূজা মণ্ডপ কমিটির সেক্রেটারি তমাল ঘোষ, পূজা মন্ডপের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে সাদা পোশাকে রয়েছে এন এস আই, আনসার ভিডিপি, ডিবি পুলিশ সেনাবাহিনী ও সার্বিক পরিস্থিতি তদারকিতে টহলরত রয়েছে রেব। জেলা প্রশাসক মহসিন উদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন, প্রত্যেকটি পূজা মন্ডপকে এবার সিসি ক্যামেরা আওতায় আনা হয়েছে এবং বিদ্যুতের কোন সমস্যা যেন না হয় সেজন্য জেনারেটরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। চাঁদপুরের প্রত্যেকটি পূজা মন্ডপে আমি পরিদর্শন করে দেখেছি এখানে হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খ্রিস্টান সবাই একত্রিতভাবে সর্বজনীন দুর্গাপূজা উদযাপনে একে অপরকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, সাংবাদিকরা বিভিন্ন লেখনির মাধ্যমে আমাদের আসন্ন দূর্গা পূজার হুমকির কথাগুলো তুলে ধরেছিলেন আমরা আশা করব কচুয়াসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে এই দুর্গাপূজায় অনন্ত নজির স্থাপন হয়েছে সম্প্রীতি ভ্রাতৃত্ববন্ধন তৈরি হয়েছে সকল রাজনৈতিক দলগুলো সঙ্ঘবদ্ধভাবে হিন্দু সম্প্রদায়কে পূজা উদযাপন করতে সহযোগিতা করেছে এই বিষয়গুলো আন্তর্জাতিকভাবে সবার দৃষ্টিতে আনার জন্য সাংবাদিকবৃন্দকে অনুরোধ জানান।
চাঁদপুরের কচুয়া বিশ্বরোডের দুইপাশের অবৈধ স্থাপনা উপজেলা প্রশাসন পৌর প্রশাসন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে বুলডোজার দিয়ে ভেঙ্গে গুড়ি দেওয়া হয়েছে। ২২ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল দশটা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক হেলাল চৌধুরী, সহকারি কমিশনার ভূমি আবু নাসের, কচুয়া থানা ওসি আজিজুল ইসলাম ও সেনাবাহিনী ক্যাপ্টেন ওয়াহিদুজ্জামান। অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার পূর্ব থেকেই মাইকিং ও নোটিশ করে ফুটপাত দখলকারীদের অভিযানের ব্যপারে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান ইউএনও। উচ্ছেদ অভিযানের সময় উপস্থিত জনসাধারণের মাঝে মিত্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। অনেকে বলেন রাস্তার দুই পাশে অবৈধ স্থাপনা কেন্দ্র করে পূর্বের পেশীবাদী আওয়ামীলীগ পালিয়ে যাওয়ার পর বিএনপি'র কয়েকটি গ্রুপ বাস স্ট্যান্ড সিএনজি স্ট্যান্ড ও ফুটপাত দখল করে এক কারেন্ট টাকা ও দৈনিক প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে নিয়মিত টাকা উত্তোলন করতো। উচ্ছেদে অভিযানে অনেকেই সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন উপজেলা প্রশাসনের প্রতি। আবার কেউ কেউ উচ্ছেদে অভিযানে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিএনপি নেতা বলেন হারুন স্কয়ারের সামনে বিশ্ব রোডের একোয়ারের পরে মালিকানা জায়গা থেকেও হারুন স্কোয়ারের মালিকের কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকা খেয়ে প্রশাসন এখানকার বৈধ দোকানপাট গুলো ভেঙ্গে দিয়েছে বলে অভি্যোগ করেন। এদিকে দিনভর উচ্ছেদ অভিযানে ফায়ার সার্ভিসের উত্তর পাশেও মালিকানা জায়গা থেকে বিল্ডিং উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন। ওসি আজিজুল ইসলাম বলেন আমাদের পরবর্তী অভিযান সাঁচার ও রহিমা নগর বাজার দখল মুক্ত করা।



