ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!
Shorts News Create
কুতুবদিয়া উপজেলার বড়ঘোপ বাজারের ব্রাহ্মণ পাড়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তিনটি বাড়ি পুড়ে গেছে। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে গ্যাসের সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কুতুবদিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার সোহেল আহমেদ ।
তিনি জানান, আগুনের খবর পেয়ে কুতুবদিয়া ফায়ার সার্ভিসের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পাশাপাশি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যরাও আগুন নেভানোর কাজে সহযোগিতা করেন। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলো হলো,বাদল শীলের ছেলে বলরাম শীল ও তপন শীল, সারদা শীলের ছেলে সেন্টু শীল এবং সেন্টু শীলের ছেলে জনি শীল, ললীত শীলের ছেলে রবি শীল এবং সৌরভ শীল।
ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনুমান ৩০ লক্ষ টাকা হবে বলে পরিবারগুলো জানিয়েছে।
ঘটনার পর কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ৬টি পরিবার এবং ২টি দোকানঘরের মালিকদের মাঝে তাৎক্ষণিক ত্রাণ বিতরণ করেন বড়ঘোপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ ন ম শহীদ উদ্দিন ছোটন।
চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে সাংবাদিক হাসান কুতুবী, ইউনিয়নের প্রশাসনিক কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন, ইউপি সদস্য তৌহিদুল ইসলাম ও মাইনুদ্দিন হাশেম মিন্টুর উপস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে চাল–ডাল, শুকনো খাবার, কাঁচামালসহ প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী প্রদান করা হয়। পাশাপাশি প্রত্যেক পরিবারকে ২,০০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।
কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি দ্রুত অবনতির দিকে যাচ্ছে।
নভেম্বর মাসেই দুই শতাধিক মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন—যা স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলছে।উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বিভিন্ন ইউনিয়ন এবং বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর তথ্য বলছে—
গত দুই সপ্তাহে ডেঙ্গু উপসর্গ নিয়ে প্রতিদিন ৮ থেকে ১২ জন রোগী চিকিৎসা নেওয়ায় আসছেন।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন— যাদের অবস্থা জটিল নয়, তাদের বাসায় থেকেই চিকিৎসার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।“দ্বীপাঞ্চলে আগে এত ডেঙ্গু দেখা যেত না। জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে মশার বিস্তার বেড়েছে।
এখনই পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম জোরদার না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।”
