close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

Korte broek Opprett

আজ রাশেদ খানের নেতৃত্বে ঝিনাইদহে শহরে ট্রাকের গন শোভাযাত্রার আযোজিত হয়।

Borhan Kabir

0

1

14

বিজেএসএম মডেল কলেজে নতুন শিক্ষাবর্ষের ওরিয়েন্টেশন শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নির্মাণের শপথ

নতুন শিক্ষাবর্ষ মানেই নতুন স্বপ্ন, নতুন পরিকল্পনা আর নতুন অঙ্গীকার। প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষাজীবনের প্রথম দিনটি এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা। বিশেষ করে কলেজ ক্যাম্পাসে প্রথমবার প্রবেশ করা শিক্ষার্থীদের কাছে এটি যেন এক নতুন দুনিয়ায় পা রাখার মতো অনুভূতি। বিজেএসএম মডেল কলেজে আয়োজিত এবারের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম সেই অনুভূতিকে আরো প্রাণবন্ত করেছে। কলেজের প্রতিটি কোণ যেন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়েছে নতুন আলো আর আশার বার্তা নিয়ে।

প্রথম দিন থেকেই শিক্ষার্থীরা বুঝতে পেরেছে, তারা শুধু একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়নি—বরং তারা একটি বড় পরিবারের অংশ হয়ে উঠেছে। নতুন পরিবেশ, নতুন সহপাঠী আর নতুন শিক্ষকের সাথে পরিচিত হওয়ার মুহূর্তগুলো ছিল আনন্দ, কৌতূহল এবং চ্যালেঞ্জের এক অনন্য মিশ্রণ। সেই সাথে ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামের প্রতিটি ধাপ তাদের মানসিক প্রস্তুতিকে আরও দৃঢ় করেছে।

প্রোগ্রামে উপস্থিত ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ, প্রভাষকবৃন্দ এবং শিক্ষক-শিক্ষিকারা। মোঃ শফিউল আলম, প্রভাষক, শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রাণবন্ত বক্তব্য রাখেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, বিজেএসএম মডেল কলেজ একদিন শুধু স্থানীয় নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও নিজের পরিচিতি তুলে ধরবে। তার বক্তব্য শিক্ষার্থীদের মনে আত্মবিশ্বাস ও উচ্চাকাঙ্ক্ষার নতুন শিখা জ্বালিয়ে দেয়।

আমি নিজে, প্রভাষক তৌফিক সুলতান, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভবিষ্যৎ নির্মাণের কিছু দিক নিয়ে কথা বলার সুযোগ পাই। আমি তাদের বলেছি, কলেজ জীবন শুধু পড়াশোনার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি হলো প্রতিভা বিকাশের সোনালী সময়। শিক্ষার্থীরা চাইলে তাদের সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করে সমাজ ও জাতির কল্যাণে অবদান রাখতে পারে। আমি তাদের উৎসাহিত করেছি লেখালেখি করার জন্য—পত্রপত্রিকায় নিজেদের মতামত প্রকাশের জন্য, কারণ লেখনী হচ্ছে চিন্তা ও চেতনার সর্বোত্তম প্রকাশ। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের শিক্ষার্থীরা এই কলেজের প্রতিনিধিত্ব করবে শুধু ফলাফলের মাধ্যমে নয়, বরং জ্ঞান, সৃজনশীলতা এবং সামাজিক অবদানের মাধ্যমেও।

অধ্যক্ষ মঞ্জিল মোল্লা শিক্ষার্থীদের প্রতি তার গভীর আন্তরিকতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা সব সময় যেন মনে রাখে—কলেজের শিক্ষকরা সবসময় তাদের পাশে আছেন। যেকোনো প্রয়োজনে তারা নির্দ্বিধায় শিক্ষকদের দ্বারস্থ হতে পারে। তার এই বক্তব্য শিক্ষার্থীদের মনে আস্থা এবং সুরক্ষার এক শক্তিশালী বার্তা পৌঁছে দেয়।

শিক্ষিকা জাফরিন সুলতানা তার বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের সাথে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন, কলেজে তারা সবসময় শিক্ষার্থীদের জন্য উপস্থিত থাকবেন। কোনো সমস্যা হলে শিক্ষার্থীরা যে কোনো সময় তার কাছে আসতে পারবে। শিক্ষার্থীদের সাথে শিক্ষকের এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক একটি উন্মুক্ত ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

ওরিয়েন্টেশনে শিক্ষার্থীদের জন্য সহশিক্ষা কার্যক্রমের গুরুত্বও তুলে ধরা হয়। বিজেএসএম মডেল কলেজের সাহিত্য ক্লাব, বিজ্ঞান ক্লাব, সাংস্কৃতিক ক্লাব এবং ভাষা ক্লাব শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল বিকাশে অসাধারণ ভূমিকা রাখে। এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শুধু পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেয় না, বরং দলগত নেতৃত্ব, সমস্যা সমাধান এবং সামাজিক সচেতনতার মতো গুণাবলী অর্জন করে।

আজকের ডিজিটাল যুগে প্রযুক্তি-নির্ভর শিক্ষা অপরিহার্য। আমাদের কলেজে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, ইন্টারনেট সুবিধা এবং আধুনিক ল্যাব রয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত করে। আমি শিক্ষার্থীদের বোঝাতে চেয়েছি, প্রতিযোগিতা এখন আর স্থানীয় পর্যায়ে সীমাবদ্ধ নয়। তাই তাদের এমনভাবে প্রস্তুত হতে হবে যেন তারা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডেও নিজের অবস্থান তৈরি করতে পারে।

ওরিয়েন্টেশনের সবচেয়ে আবেগঘন মুহূর্ত ছিল শিক্ষার্থীদের শপথ গ্রহণ। তারা প্রতিজ্ঞা করেছে, তারা নিয়মিত পড়াশোনা করবে, শিক্ষক-অভিভাবকের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে, নৈতিকতা বজায় রাখবে এবং দেশের কল্যাণে নিজেদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবে। তাদের চোখের দীপ্তি আর কণ্ঠের দৃঢ়তা আমাদের সকলকে আশ্বস্ত করেছে যে, তারা সত্যিই ভবিষ্যৎ নির্মাণের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ।

অভিভাবকদের উপস্থিতি অনুষ্ঠানটিকে আরও তাৎপর্যপূর্ণ করে তোলে। তারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন যে, বিজেএসএম মডেল কলেজ শুধু শিক্ষার মান উন্নয়নে নয়, শিক্ষার্থীদের চরিত্র গঠনে এবং মানবিক গুণাবলীর বিকাশে কাজ করছে। অভিভাবকরা আশা প্রকাশ করেন, তাদের সন্তানরা এই কলেজ থেকে যোগ্য নাগরিক হয়ে বেরিয়ে আসবে।

সবশেষে বলা যায়, বিজেএসএম মডেল কলেজের নতুন শিক্ষাবর্ষের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম শিক্ষার্থীদের জন্য শুধু একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়—এটি ছিল এক নতুন যাত্রার সূচনা। শিক্ষার্থীরা বুঝে গেছে, শিক্ষা মানে শুধু পাঠ্যপুস্তক নয়, বরং চিন্তাশক্তি, নেতৃত্ব, মানবিকতা এবং সৃজনশীলতার বিকাশ। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের শিক্ষার্থীরা নিজেদের প্রতিভা ও অধ্যবসায় দিয়ে কলেজের সুনাম আরও উজ্জ্বল করবে।

Towfiq Sultan

0

0

5

⁣একইসঙ্গে মেডিকেল ও ঢাবি অ্যাডমিশন প্রস্তুতি

Mamun Sorder

0

0

1

⁣আমাদের কি হয়েছে আমরা মৃত্যু কে কেন ভয় পাই না??
#foryou #fypシ #viralvideo #banglaislamic #1মিনিটে_ইবাদত #trendingbangla #tiktokbangladesh #tiktokviral #islampost #আজকের_উপদেশ #islamicvideo

Showkat Akbor

0

1

7

⁣কুলিয়ারচর গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের পশ্চিম আবদুল্লাপুর গ্রামে চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে,,, এক হিন্দু ছেলে ঐ গ্রামের বাচ্চু মিয়ার মেয়ে রিক্ততা সাথে হিন্দু পরিচয় গোপন করে ৫ বছর প্রেম করে ২ বছর আগে বিয়ে হয়। আট মাস সংসার করার পর মেয়েকে ডিভোর্স দেয়। আজ বুধবার ০২ এপ্রিল মেয়ের বাড়িতে আসলে জনতা ঐ ছেলেকে আটক করে।

Ali Sohel

0

0

16

⁣এবারে রাঙ্গুনিয়ায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন, শ্রমিকের দাম বৃদ্ধিতে বিপাকের কৃষক
দেশের শস্যভান্ডার খ্যাত রাঙ্গুনিয়ার গুমাই বিলসহ বিভিন্ন বিলে এবারে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে সবুজ ধান সোনালি বৰ্ণ হয়ে পাকতে শুরু করলে গুমাই বিলসহ বিভিন্ন বিলে ধান কাটা শুরু করেছে কৃষকরা। অনেক কৃষক ধান কেটে মাড়াই করে ঘরে তুলেছেন। তবে এবার শ্রমিকের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় বিপাকে পড়েছে কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গুমাইবিলসহ উপজেলায় ৩ হাজার ৯৮০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। গত মৌসুমে রাঙ্গুনিয়ায় ধান ও চালের ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি আবাদ হয়েছে। বাংলাদেশে প্রধান চলনবিলের পরে দ্বিতীয় বিল হিসেবে পরিচিত এ গুমাই বিল। জানা যায়, গুমাইবিলে প্রতি বোরো মৌসুমে দেড় হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ হয়। এ বছর প্রায় ২ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে আবাদ হয়েছে।

এদিকে গুমাই বিলসহ অন্যান্য বিলে গিয়ে দেখা যায় এবারে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে কৃষকরা বিপাকে পড়েছে শ্রমিকের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে। অন্যান্য বারের তুলনায় এবারে শ্রমিক সংকট ও শ্রমিকের দাম ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা বৃদ্ধি হয়েছে।

তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় হাসিমুখে ধান কেটে ঘরে তুলছেন কৃষকরা।

Mohammad Tayabul Islam

0

0

14