লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!
Quần short Tạo ra
লাঙ্গলবন্দর, নরসিংদী:
বাংলাদেশ হিন্দু ছাত্র মহাসংঘ, নরসিংদী শাখার উদ্যোগে সম্প্রতি লাঙ্গলবন্দরে অনুষ্ঠিত হয়েছে একটি গুরুত্বপূর্ণ গঠনমূলক কার্যক্রম। স্থানীয় পর্যায়ের হিন্দু শিক্ষার্থীদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা শিক্ষার্থীদের অধিকার, সামাজিক নিরাপত্তা, ধর্মীয় সহনশীলতা এবং ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। তারা বলেন, বাংলাদেশ হিন্দু ছাত্র মহাসংঘ শুধুমাত্র একটি ছাত্র সংগঠন নয়, বরং এটি একটি সামাজিক আন্দোলনের নাম, যার মূল লক্ষ্য হলো সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা।
এই আয়োজনের মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া এবং ভবিষ্যতে আরও বৃহৎ পরিসরে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন সংগঠনের নেতারা।
অনুষ্ঠানের শেষাংশে উপস্থিত সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয় এবং সংগঠনের পক্ষ থেকে আগামীর পরিকল্পনা সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়।
মাত্র ১৮ বছর বয়স—জীবনের শুরু, স্বপ্ন গড়ার সময়। অথচ এ বয়সেই এক তরুণ এমন এক নির্মম সিদ্ধান্ত নিল, যা ভাবলেও হৃদয় কেঁপে ওঠে। আত্ম*হত্যা—এটা কোনো সমাধান নয়, বরং এক চরম পরিণতি। কিন্তু কী এমন কষ্ট ছিল তার জীবনে, যা তাকে এত বড় এক নিকৃষ্ট পথ বেছে নিতে বাধ্য করলো?
ছেলেটির বাবা নেই। পরিবারে ছিল শুধু মা ও এক বোন। সংসারের বড় সন্তান হিসেবে হয়তো দায়িত্বের ভারটাই বেশি অনুভব করতো। কে জানে—কোনো চাপ, অপমান, হতাশা বা অভাব তাকে ভিতর থেকে এমনভাবে ভেঙে দিয়েছে, যার বোঝা সে আর বহন করতে পারেনি।
সে নিজের জীবনটা শেষ করে দিলো ঠিকই—কিন্তু পেছনে রেখে গেলো এক অসহায় মা, যার বুকটা আজ ফেটে চৌচির, আর এক ছোট বোন, যার ভরসার একমাত্র মানুষটাকেও কেড়ে নিলো এই নিষ্ঠুর বাস্তবতা। সে নিজের জীবন দিয়ে নিজের প্রিয়জনদেরও যেন জীবন্ত লাশ বানিয়ে গেলো।
জানি না, কী সেই অজানা কষ্ট, কিন্তু এটুকু জানি—কাউকে হারানোর ব্যথা সারা জীবনের জন্য রয়ে যায়। জীবন যতই কঠিন হোক, বেঁচে থাকার লড়াইটাই সবচেয়ে বড় সাহস। কেউ যদি আগে পাশে দাঁাতাতো, একটু বোঝাতো—হয়তো আজ গল্পটা অন্যরকম হতো।




