লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!
Shorts Lumikha
মোঃ বাপ্পারাজ খান (পাংশা প্রতিনিধি)
সার সংকটে যখন রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের কৃষকেরা দিশেহারা, ঠিক তখনই ২৬ বস্তা ডি এ পি সার শৈলকুপা উপজেলায় পাচার করা কালে কৃষকের হাতে আটক।
(২৮ আগস্ট ) বৃহস্পতিবার রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের কেয়াগ্রাম খুলুমবাড়ী খেয়াঘাট দিয়ে দুটি ভ্যান গাড়িতে ২৬ বস্তা ডি এ পি সার নিয়ে গড়াই নদীর খেয়া ঘাটপার হয়ে খুলুমবাড়ী বাজারের দিকে যাচ্ছে দেখে ঐ এলাকার কৃষকেরা স্থানীয় সাংবাদিক ও পাংশা উপজেলা প্রেসক্লাবের সদস্য মোঃ বাপ্পারাজ খান'কে খবর দেন।মোঃ বাপ্পারাজ খান তাৎক্ষণিক খেয়াঘাট এলাকায় গিয়ে ভ্যান চালকের কাছে জানতে চাইলে, তারা জানান এই সার বাগলী বাজার জাহিদ বিশ্বাস এর গোডাউন থেকে এনেছি। কোথায় নিচ্ছেন জানতে চাইলে ভ্যানচালক জানান, খুলুমবাড়ী বাজারে সাম কুন্ডুর ঘরে যাবে।
ঐ সাংবাদিক বিষয়টি জানতে তাৎক্ষণিক মুঠোফোনে সার এর ডিলার জাহিদ বিশ্বাস'কে ফোন দিলে তিনি প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে নিজের ভুল স্বীকার করেন।
তখন ঐ সাংবাদিক তাৎক্ষণিক নিজের ফেসবুক আইডি থেকে সার বোঝাই ভ্যানগাড়ীসহ একটি পোষ্ট দিলে বিষয়টি পাংশা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার নজরে আসে। পাংশা উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সোলাইমান হোসেন ও মোঃ রফিকুল ইসলাম ও কসবামাজাইল ইউনিয়ন কৃষি কর্মকর্তা আবু হেনা মোস্তফা দ্রুত ঘটনা স্থলে পৌছে সার বোঝাই ভ্যানগাড়ী আটক করে বাগলী বাজারে জাহিদ বিশ্বাসের দোকানে নিয়ে আসেন।
সন্ধ্যায় পাংশা উপজেলা প্রেসক্লাবে আরেক সাংবাদিক রবিউল ইসলাম বাগলী বাজারে গিয়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে, তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ঐ সাংবাদিক'কে জানান, আমরা বিষয়টি আপাতত ক্ষমার চোখে দেখতে চাই। আপনারা ফেসবুক আইডি থেকে স্টাটাস তুলে নিন। তার কথায় ঐ সাংবাদিক রেগে গেলে, তখন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সোলাইমান হোসেন কথার প্রঙ্গ পাল্টিয়ে বলেন, আমরা অবশ্যই ডিলার জাহিদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করব।
এ বিষয়ে কসবামাজাইল ইউনিয়নের ভুক্তভোগী কৃষক তরুন জানান, জাহিদ বিশ্বাস দীর্ঘ ১০/১৫ বছর যাবৎ সারের ডিলারী করছেন। এখনো কিভাবে তার ডিলারী থাকে? মতিন, রতন, আরিফ, ও শিবলু আরো অন্যান্য ব্যক্তিরা জানান আমরা সার আনতে গেলে সার দেয় না। আরো বলেসার এখন নাই তা ছাড়া ও জাহিদ বিশ্বাস সার বিক্রি করে বস্তুা প্রতি ২০০থেকে ৩০০ টাকা বেশি দরে সার ডিলার জাহিদ বিশ্বাস নিজ ইউনিয়ন বাদ দিয়ে সার বিক্রি করেন সরিষা ইউনিয়নের বাগলী বাজারে। কসবামাজাইল ইউনিয়নের কৃষকেরা সার আনতে বাগলী বাজারে গেলে, ডিলার সার নেই বলে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে খালি হাতে ফেরত দেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কৃষক জানান, জাহিদ বিশ্বাস দীর্ঘদিন ধরেই সার নিয়ে নয় ছয় করে আসছেন। আমরা তার ডিলারী বাতিল করতে অবিলম্বে নতুন ডিলার চাই।
চাঁদপুরের কচুয়া বিশ্বরোডের দুইপাশের অবৈধ স্থাপনা উপজেলা প্রশাসন পৌর প্রশাসন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে বুলডোজার দিয়ে ভেঙ্গে গুড়ি দেওয়া হয়েছে। ২২ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল দশটা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক হেলাল চৌধুরী, সহকারি কমিশনার ভূমি আবু নাসের, কচুয়া থানা ওসি আজিজুল ইসলাম ও সেনাবাহিনী ক্যাপ্টেন ওয়াহিদুজ্জামান। অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার পূর্ব থেকেই মাইকিং ও নোটিশ করে ফুটপাত দখলকারীদের অভিযানের ব্যপারে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান ইউএনও। উচ্ছেদ অভিযানের সময় উপস্থিত জনসাধারণের মাঝে মিত্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। অনেকে বলেন রাস্তার দুই পাশে অবৈধ স্থাপনা কেন্দ্র করে পূর্বের পেশীবাদী আওয়ামীলীগ পালিয়ে যাওয়ার পর বিএনপি'র কয়েকটি গ্রুপ বাস স্ট্যান্ড সিএনজি স্ট্যান্ড ও ফুটপাত দখল করে এক কারেন্ট টাকা ও দৈনিক প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে নিয়মিত টাকা উত্তোলন করতো। উচ্ছেদে অভিযানে অনেকেই সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন উপজেলা প্রশাসনের প্রতি। আবার কেউ কেউ উচ্ছেদে অভিযানে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিএনপি নেতা বলেন হারুন স্কয়ারের সামনে বিশ্ব রোডের একোয়ারের পরে মালিকানা জায়গা থেকেও হারুন স্কোয়ারের মালিকের কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকা খেয়ে প্রশাসন এখানকার বৈধ দোকানপাট গুলো ভেঙ্গে দিয়েছে বলে অভি্যোগ করেন। এদিকে দিনভর উচ্ছেদ অভিযানে ফায়ার সার্ভিসের উত্তর পাশেও মালিকানা জায়গা থেকে বিল্ডিং উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন। ওসি আজিজুল ইসলাম বলেন আমাদের পরবর্তী অভিযান সাঁচার ও রহিমা নগর বাজার দখল মুক্ত করা।




