কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!
السراويل القصيرة خلق

তা’মীরুল মিল্লাতের শিক্ষার্থীদের ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিক্ষোভ
ফিলিস্তিনের উপর হামলার প্রতিবাদে গত ১৬ এপ্রিল তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (টাকসু)-এর উদ্যোগে টঙ্গীর এরশাদ নগরে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মাদ্রাসার প্রধান ফটক থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি এরশাদ নগরের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে এশিয়া পাম্পের সামনে এসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। এই প্রতিবাদ মিছিলে তা’মীরুল মিল্লাতের প্রায় আট হাজার শিক্ষার্থী স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে।
মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা "ফিলিস্তিন জিন্দাবাদ", "তুমি কে আমি কে - আজাদী" ইত্যাদি স্লোগানে পুরো এলাকা মুখরিত করে তোলে। এছাড়াও, শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের আহ্বান জানায়।
সমাবেশে তুরাগ শিল্পীগোষ্ঠীর সদস্যরা একটি প্রতিবাদী পথনাটক পরিবেশন করে। নাটকের মাধ্যমে তারা ফিলিস্তিনের প্রতিবেশী দেশ তথা মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশগুলোর প্রতি ফিলিস্তিনিদের মানবাধিকার রক্ষায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানায়।
তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (টাকসু)-এর সভাপতি ইকবাল কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাদ্রাসার সম্মানিত প্রিন্সিপাল মাওলানা মিজানুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ইসহাক আলী। এছাড়াও, টাকসুর বিভিন্ন স্তরের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন টাকসুর সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির।
সমাবেশে বক্তারা ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন এবং সকল মুসলিম দেশকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। একইসাথে, তারা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রতি ফিলিস্তিনের মানুষের জীবন ও মর্যাদা রক্ষায় তাদের দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।

মতলব উত্তরে বরোপিট দখল করতে এসে
বাড়ি ঘরে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ
শহিদুল ইসলাম খোকন :
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বরোপিট (ফিসারী) দখল করতে এসে প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার ৫ এপ্রিল দুপুরে উপজেলার গজরা ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, কৃষ্ণপুর গ্রামের পশ্চিম পাড়া প্রধান বাড়ি সংলগ্ন পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি বরোপিট আছে, যা এলাকার ৩০ জন লোক মিলে একটি সমিতি ঘটনা করে, ২০ বছর আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে লিজ নিয়ে মাছ চাষ করতো।
২০০৯ সালে ঐ লিজের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে গনি প্রধান জোর করে সে একাই বরোপিট ভোগ করতো। কিন্তু ৫ আগষ্টেরপর আবার সবাই মিলে ঐ ৩০ পরিবার ভোগ করতে চাইলে গনি প্রধান তাতে রাজি হয়নি। এই নিয়ে গত ৭ মার্চ তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে স্থানীয়রা মিলে ঐ ৩০ পরিবারকে ভোগ করার সিদ্ধান্ত দেয়। গনি প্রধান স্থানীয়দের কথা অমান্য করে জোর করে আবার দখল, হামলা ও লুটপাট করে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আলী আরশাদের ছেলে আনিছ প্রধান বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৫ এপ্রিল শনিবার দুপুরে গনি প্রধান ও মামুন মনিরের হুকুমে,গনির ছেলে ছেলে রাহাত, জাহিদ, উত্তর লুধুয়ার আকাশ ও জিহাদ সহ আরো অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জন মিলে বরোপিটের সাইনবোর্ড ভেঙ্গে এবং আরশাদ আলীর ঘরে হামলা, ভাংচুর, মোবাইল, স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ লুটপাট করে।
আলী আরশাদের স্ত্রী জয়নব বেগম, তার ছেলে আনিছ ও মাহফুজ বলেন, গণি প্রধানের নির্দেশে তার দুই ছেলে রাহাত, জাহিদ, গজরার মামুন মনির ও উত্তর লুধুয়া থেকে লোক ভাড়া করে এনে আমাদের বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা করে। ঘরের সমস্ত আসবাবপত্র ভেঙে ফেলে এবং ঘরে থাকা নগদ ২ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার ও মোবাইল নিয়ে যায়। ককটেল বোমা নিয়ে এসে আমাদেরকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় এবং দুই বৃদ্ধ মহিলাকে মারধর করেছে।
এ বিষয়ে গনি প্রধান বলেন, হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেনি। পূর্বে আমি লিজ এনেছিলাম। বর্তমানে লিজ দেওয়া বন্ধ থাকায় নতুন করে লিজ আনতে পাড়িনি।
এ ঘটনার পর মতলব উত্তর থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।