তিস্তায় পানি বাড়ায় পানি বন্দি কয়েক হাজার মানুষ।
উজানের পাহাড়ি ঢল ও অব্যাহত বৃষ্টিপাতে আবারও তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। তিস্তায় জেগে ওঠা চর ও নেমে যাওয়া বসতভিটাগুলোতে ফের পানি উঠেছে। ডুবে গেছে বীজতলা ও বিভিন্ন মৌসুমি ফসলের ক্ষেত। হঠাৎ পানি বৃদ্ধিতে নদীপাড়ের মানুষজন নতুন করে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় পড়েছেন।
রোববার (৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় ৬টায় তিস্তার ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে সকাল ৬টায় একই পয়েন্টে পানি ছিল বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় এ পানি বিপদসীমার ২৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে পানির এমন উর্ধ্বগতি স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে।
তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতিবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, সানিয়াজান, সিঙ্গিমারী, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ি, কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা এবং সদর উপজেলার রাজপুর, খুনিয়াগাছ, গোকুন্ডা ইউনিয়নের নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হচ্ছে।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার জানান, আবহাওয়া অফিস থেকে প্রাপ্ত তথ্যে আগামী কয়েকদিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। ফলে তিস্তা নদীর পানি আরও কিছুটা বাড়তে পারে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচএম রকিব হায়দার বলেন, জেলার বন্যাকবলিত পরিবারগুলোর মাঝে ইতোমধ্যে জরুরি ত্রাণ বিতরণ শুরু হয়েছে। প্রতিটি পরিবারকে ১০ কেজি চাল, ডাল, চিড়া ও শুকনো খাবার দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি প্রস্তুত রাখা হয়েছে বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।
সোহাগ হোসেন শান্ত
হাতিবান্ধা, লালমনিরহাট
মোবাইল : ০১৭৬৮১৫০০২১
৪/৮/২৫