close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

তিস্তা নদীর ওপর মাওলানা ভাসানী সেতু আজ উদ্বোধন

Biplob Dikshit avatar   
Biplob Dikshit
তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত মাওলানা ভাসানী সেতু আজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে, যা কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার মধ্যে সংযোগ স্থাপন করবে।..

আজ তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত মাওলানা ভাসানী সেতু আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। প্রায় ১,৪৯০ মিটার দীর্ঘ এই পিসি গার্ডার সেতুটি কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার মধ্যে সংযোগ স্থাপন করবে, যা আগে তিস্তা সেতু নামে পরিচিত ছিল। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সেতুটির উদ্বোধন করবেন।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল চৌধুরী জানিয়েছেন, উদ্বোধনের সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। উভয় পাশে স্থানীয় জনগণ ও আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য বড় মঞ্চ ও প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে, এবং উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।

সেতুটি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ঘাট ও কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার চিলমারী ঘাটের মধ্যে তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত হয়েছে। এলজিইডি সূত্র মতে, সেতুটি কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার মধ্যে ভ্রমণের দূরত্ব ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি কমিয়ে দেবে, যা অঞ্চলের পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় একটি বড় পরিবর্তন আনবে।

সেতুটি সৌদি ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তায় ও এলজিইডির তত্ত্বাবধানে চীনা একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেছে। মোট নির্মাণ ব্যয় হয়েছে ৮৮৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে মূল সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২৭৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা, সংযোগ সড়কে ১০ কোটি ২৫ লাখ টাকা, নদী ব্যবস্থাপনায় ৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা এবং ভূমি অধিগ্রহণে ৬ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।

সেতুটিতে মোট ৩০টি পিলার রয়েছে, যার মধ্যে ২৮টি নদীর ভেতরে এবং ২টি নদীর তীরে। নদী শাসনের আওতায় উভয় তীরে মোট ৩.১৫ কিলোমিটার কাজ করা হয়েছে। এছাড়াও, মোট ৫৭ দশমিক ৩ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণাধীন, যার মধ্যে চিলমারী মাটিকাটা জংশন থেকে সেতু পর্যন্ত ৭ দশমিক ৩ কিলোমিটার এবং সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট থেকে হরিপুর সেতু পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার।

এলজিইডি সূত্র জানায়, এই সেতুটি রংপুর শহর এবং কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা শহরের মধ্যে কৃষিপণ্যের পরিবহন জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এতে কৃষকেরা সময়মতো পণ্য বাজারজাত করতে পারবেন, যা তাদের আয় বৃদ্ধি ও অঞ্চলের সামাজিক-অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়নে সহায়তা করবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই সেতু নির্মাণের ফলে স্থানীয় অর্থনীতি বৃদ্ধি পাবে এবং এর ফলে অঞ্চলের মানুষ উপকৃত হবে।

No comments found