জাতীয় কন্যাশিশু দিবসে ডিসি স্যারের বক্তব্য শোনা নিঃসন্দেহে একটি অনুপ্রেরণা পেয়েছে আজকের কন্যারা । এই দিবসটি পালনের মূল লক্ষ্য হলো কন্যাশিশুদের অধিকার, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং তাদের প্রতি বৈষম্য দূর করার বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করা।
আমরা ব্যক্তিগত, পারিবারিক এবং সামাজিক পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে এই দিবসটিকে অর্থবহ করে তুলতে পারি।
জাতীয় কন্যাশিশু দিবসের মূল উদ্দেশ্যগুলি অর্জন করতে আপনি এবং আপনার চারপাশের মানুষ বেশ কিছু কার্যকর পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে।
সচেতনতা বৃদ্ধি ও আলোচনার আয়োজন
কন্যাশিশুর অধিকার সম্পর্কে মানুষকে জানাতে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আলোচনায় উঠে আসে স্থানীয় স্কুল, কলেজ, বা কমিউনিটি সেন্টারে কন্যাশিশুদের শিক্ষার অধিকার, বাল্যবিবাহের কুফল, স্বাস্থ্য ও পুষ্টির গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন দরকার। আলোচনায় ঠাকুরগাঁয়ের বিশিষ্ট জন, সমাজসেবক, চিকিৎসক, শিক্ষক , শিক্ষা অনুরাগী শুশিল সমাজের সকালে উপস্থিত ছিলেন।
একটি সচেতনতামূলক র্যালি কন্যাশিশুদের অধিকার নিয়ে তৈরি পোস্টার, ব্যানার বা স্লোগান ব্যবহার করে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করা দরকার।
স্কুল বা পাড়ায় রচনা, চিত্রাঙ্কন, বিতর্ক প্রতিযোগিতা বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যেখানে কন্যাশিশুর গুরুত্ব এবং অধিকারের বিষয়গুলি তুলে ধরা যায়।
পরিবার ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে পদক্ষেপ নিতে সকল পিতামাতাকে।
পরিবর্তন শুরু করতে হবে পরিবার থেকেই।
কন্যাশিশুকে সমর্থন আপনার পরিবারের কন্যাশিশুদের স্বপ্ন, লক্ষ্য এবং আগ্রহের বিষয়ে উৎসাহিত করুন। তাদের পড়াশোনা, খেলাধুলা বা অন্য যেকোনো ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সমর্থন দিন।
সমান সুযোগ নিশ্চিত করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। পুত্রসন্তান ও কন্যসন্তানের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ করবেন না। তাদের দুজনের জন্যই সমান সুযোগ, যত্ন এবং স্বাধীনতা নিশ্চিত করুন।
আর্থিক বিনিয়োগে উৎসাহিত করা কন্যাশিশুর জন্য শিক্ষা বা ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করার গুরুত্ব সম্পর্কে পরিবার ও অন্যদের উৎসাহিত করুন।
বৃহত্তর সামাজিক পরিবর্তনে আপনার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে ভূমিকা পালন করে, বাল্যবিবাহের চেষ্টা দেখলে দ্রুত স্থানীয় প্রশাসন (যেমন: ডিসি অফিস, উপজেলা নির্বাহী অফিস), পুলিশ বা হটলাইনে (যেমন: জাতীয় হেল্পলাইন ১০৯) খবর দিন।
স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতা নিয়ে বিষয়ে মেয়েদের স্বাস্থ্য ও মাসিককালীন পরিচ্ছন্নতা নিয়ে কমিউনিটিতে সচেতনতা তৈরি করুন। প্রয়োজনে তাদের কে স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক জ্ঞান প্রদান করতে হবে। শিক্ষা, খেলাধুলা বা অন্য কোনো ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী স্থানীয় কন্যাশিশুদের পুরস্কৃত করুন বা তাদের সম্মান জানান। এটি অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।
জাতীয় কন্যাশিশু দিবস শুধু একটি দিনের উৎসব নয়, এটি কন্যাশিশুদের জন্য একটি নিরাপদ, সুন্দর এবং সুযোগপূর্ণ ভবিষ্যৎ তৈরির অঙ্গীকার।