রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খানের মৃত্যুবার্ষিকীতে ধানমন্ডির বাসায় মিলাদে অংশ নেন বেবী নাজনীন। দেখা করেন তারেক রহমানের শাশুড়ির সঙ্গে, খোঁজ নেন শারীরিক অবস্থার।
সাবেক মন্ত্রী ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খানের ৪১তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর ধানমন্ডির বাসভবনে এক মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। গত ৬ আগস্ট, মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনায় এই আয়োজনটি করা হয় পরিবারের পক্ষ থেকে।
এ আয়োজনে অংশ নেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও দেশের খ্যাতিমান সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন। তিনি মিলাদ মাহফিলে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ডা. জুবাইদা রহমানের মা এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মানদ্ বানুর সঙ্গে। এ সময় তিনি মানদ্ বানুর শারীরিক অবস্থা ও সুস্থতা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন এবং সৌজন্যমূলক কুশল বিনিময় করেন।
এটি ছিল একটি স্মরণীয় মুহূর্ত, যেখানে রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক সৌহার্দ্যের দৃষ্টান্তও স্থাপিত হলো। দীর্ঘদিন পর প্রিয়জনদের সঙ্গে মিলাদ মাহফিলে অংশ নিয়ে বেবী নাজনীন জানান, মাহবুব আলী খানের মতো একজন গৌরবময় ব্যক্তিত্বের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা তার জন্য একটি আবেগঘন অভিজ্ঞতা।
উল্লেখ্য, ব্ল্যাক ডায়মন্ড খ্যাত এই সংগীতশিল্পী দীর্ঘ প্রবাস জীবন শেষে ২০২৪ সালের ১০ নভেম্বর দেশে ফিরে আসেন। দেশে ফিরে তিনি সংগীতাঙ্গনের পাশাপাশি সক্রিয় রাজনীতিতেও নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত থাকার কারণে আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলের শুরু থেকেই তার পেশাগত কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছিল। পরে দীর্ঘ ৮ বছর যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান শেষে তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং নতুন করে স্টেজ পারফর্মেন্স ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু করেন।
বেবী নাজনীন বর্তমানে বিএনপির একজন গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক নেতা হিসেবে দলের কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন। পাশাপাশি সমাজে সাংস্কৃতিক জাগরণ ও রাজনৈতিক সচেতনতা তৈরিতে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন। তার উপস্থিতি শুধু একজন শিল্পীর নয়, বরং একজন রাজনৈতিক সচেতন নাগরিক ও নেত্রী হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।
মাহবুব আলী খানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এই মিলাদ মাহফিলটি ছিল না শুধুমাত্র পারিবারিক অনুষ্ঠান, বরং এটি বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের একত্রিত হওয়ার একটি উপলক্ষও ছিল। এতে রাজনৈতিক সৌহার্দ্য, পারিবারিক মূল্যবোধ এবং জাতীয় নেতাদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপিত হলো।