close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

টানা বর্ষণে কপোতাক্ষ নদের দুর্ভোগ কমাতে ইউএনও’র দ্রুত পদক্ষেপ..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা avatar   
সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় টানা বর্ষণে জলাবদ্ধতা নিরসনে ইউএনও দীপা রানী সরকারের কার্যকর পদক্ষেপে স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:

সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় টানা বর্ষণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা এবং কপোতাক্ষ নদের বিভিন্ন স্থানে শেওলা জমে যাওয়ায় হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছিল। এমন পরিস্থিতিতে তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) দীপা রানী সরকারের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপে এ সমস্যা নিরসন করা সম্ভব হয়েছে। নদের বিভিন্ন স্থানে জমে থাকা কচুরিপানা ও শেওলা অপসারণের মাধ্যমে নদীর স্বাভাবিক পানি প্রবাহ ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

তালা উপজেলার মাগুরা ব্রিজের পাশে বাঁশ ও কাঠের সাঁকো অপসারণ করা হয়, যার ফলে জমে থাকা কচুরিপানা ও শেওলা দ্রুত সরিয়ে ফেলা সম্ভব হয়। এর ফলে কপোতাক্ষ নদে স্বাভাবিকভাবে জোয়ার-ভাটা চলাচল শুরু হয়, যা এলাকাবাসীর জন্য বড় একটি স্বস্তির সংবাদ।

বিগত বর্ষায় উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও স্রোতের সঙ্গে কপোতাক্ষ নদে বিপুল পরিমাণ কচুরিপানা ও শেওলা জমা হওয়ায় জোয়ার-ভাটা বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে যশোরের ঝিকরগাছা, মনিরামপুর, কেশবপুর, কলারোয়া এবং সাতক্ষীরার তালা উপজেলার শতাধিক বিল ও গ্রামে পানি ঢুকে পড়ে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, ঝিকরগাছা ও মনিরামপুরের বাওড়ে জমে থাকা কচুরিপানা বৃষ্টির স্রোতে কপোতাক্ষ নদে নেমে আসে। অতিরিক্ত চাপের কারণে মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের সাগরদাড়ীর কাঠের সাঁকো ভেঙে যায়। একইভাবে তালার মাগুরা বাজার সংলগ্ন নতুন ব্রিজের পাশে বাঁশের সাঁকোতে কচুরিপানা আটকে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হয়।

ইউএনও দীপা রানী সরকার বলেন, 'ইতিমধ্যে জনগণের দুর্ভোগ কমাতে সকলের সহযোগিতায় কপোতাক্ষ নদের কচুরিপানা ও শেওলা অপসারণ করা হয়েছে। এতে নদীতে জোয়ার-ভাটা ফিরতে শুরু করেছে।'

তালা উপজেলা পানি কমিটির সাধারণ সম্পাদক মীর জিল্লুর রহমান বলেন, 'ইউএনও’র তড়িৎ হস্তক্ষেপে কপোতাক্ষ নদের কচুরিপানা ও শেওলা অপসারিত হয়। যার কারণে নদীতে জোয়ার-ভাটা ফিরতে শুরু করেছে।'

ইসলামাকটী ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক গোলাম ফারুক বলেন, 'কপোতাক্ষ নদে শেওলা অপসারণের ফলে শত শত মানুষ উপকৃত হয়েছে।'

এ উদ্যোগের ফলে এলাকার মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে এবং তারা ইউএনও’র দ্রুত পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন। এ ধরনের উদ্যোগ ভবিষ্যতে আরও গ্রহণ করা হলে এলাকার মানুষের দুর্ভোগ কমবে বলে স্থানীয়রা মনে করেন।

No comments found