প্রকাশ্যে চলছে মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়। থানা প্রশাসনের কঠোর হুশিয়ারী থাকা সত্বেও সীমান্ত এলাকা হওয়ায় দেদারছে চলছে মরণঅস্ত্র নামক মাদক বিকিকিনি।
সূত্র জানায়,তালা উপজেলার সীমান্ত এলাকা ও পাইকগাছা উপজেলার প্রবেশ পথ অঞ্চল কানাইদিয়া-রথখোলা এলাকায় নদী পথ ব্যবহার করে সমাজে উঠতি বয়সী বিপদগামী যুবক কোকেন ও ইয়াবা নামক মরণঅস্ত্র আনায়ন করে সাপ্লাই করছে। অপসংস্কৃতি ও মাদকের ছোবলে ধ্বংসের পথে এখানকার যুবসমাজ। উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েরা নেশায় আসক্ত হচ্ছে, পরিবার ও সমাজের জন্য ভয়ঙ্কররূপ ধারণ করছে তারা। এসকল উঠতি বয়সী বিপদগামী যুবকরা মাদক বিকিকিনি জন্য নদী পথ কপিলমুনি খেয়াঘাট, ঘোষনগর খেয়াঘাটসহ সেলুন,ভাড়ায় চালিত মটর সাইকেল ড্রাইভারদের সমন্বয়ে দূরদুরান্তে কোকেন- ইয়াবা পৌছে দেওয়া হচ্ছে। আর এসকল কার্মযজ্ঞের মূলহোতা হিসাবে কাজ করছে পরিবার থেকে উচ্ছনে যাওয়া এক যুবক।
স্থানীয় এলাকাবাসীর ভাষ্য মতে, তালা উপজেলা কানাইদিয়া গ্রামের কমল দত্তের ছেলে জয় দত্ত হলে এঅঞ্চলের মাদক বিক্রির মূলহোতা ও মাদক সেবনকারী । তার ফোনে ও ওয়াটস্যাপে মাদকের অর্ডার প্রদান করলে সেলুন ব্যবসায়ী সন্দীপের দোকান, ভাড়ায় চালিত মটরসাইকেল চালক শিমুল ও বাবু বিশ্বাস, প্রীতম হালদার পরিবেশ পরিস্থিতি অনুযায়ী কোকেন ও ইয়াবা পৌছে দিয়ে আসেন। এদেন কারণে এই এলাকার উঠিত বয়সী যুবকরা মাদক হাতের নাগালে পেয়ে সেবন করছেন। তবে এই জয় দত্তেরও মাস্টার মাইন্ড আছে। সে থাকেন ধরাছোয়ার বাহিরে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতেই মাদক বেচাকেনায় তাদের ব্যবহার করা হচ্ছে। দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে এ সব কিশোররা মাদক বহন করতে গিয়ে এক সময় নিজেরাই হয়ে পড়ছে মাদকাসক্ত।
সরেজমিনে তথ্য মতে, এই সীমান্ত এলাকা থেকে সর্বত্র মাদকের ছড়াছড়ি। ঘরের বাইরে বেরিয়ে হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে গাঁজা, হেরোইন, ফেনসিডিল, কোকেন, ইয়াবা। প্রতিদিনই ধরা পড়ছে মাদকসেবী ও ব্যবসায়ী। কিন্তু কোনভাবেই দমন করা যাচ্ছে না। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাদক ব্যবসায় জড়িত চুনোপুটিদের অনেক সময় আটক করলেও ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছেন রাঘববোয়ালরা। ফলে, থামছে না নেশার ঢল।
এ বিষয়ে তালা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মো. শাহিনুর রহমান,মাদক ও জুয়া কারবারীদের বিরুদ্ধে থানা পুলিশের কঠোর অবস্থান আছে। পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে মাদক ও জুয়ার উপরে জিরো টলারেন্স ঘোষনা করা হয়েছে।