close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

তালায় কিশোরীদের আত্মরক্ষামূলক প্রশিক্ষণ: বাল্যবিবাহ ও যৌন হয়রানি প্রতিরোধে নতুন উদ্যোগ..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা avatar   
সাতক্ষীরার তালায় কিশোরীদের আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে বাল্যবিবাহ ও যৌন হয়রানি প্রতিরোধে।..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:

সাতক্ষীরার তালায় শহীদ কামেল মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কিশোরীদের জন্য ৭ দিনের আত্মরক্ষামূলক প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে, যা বাল্যবিবাহ ও যৌন হয়রানি প্রতিরোধের লক্ষ্যে আয়োজিত। রবিবার (২৪ আগস্ট ২০২৫) সকালে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। এই উদ্যোগটি রিসার্চ ইনিশিয়েটিভস বাংলাদেশ (রিইব) বাস্তবায়ন করছে এবং নেটজ বাংলাদেশ সহযোগিতা করছে।

প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তালা শহীদ কামেল মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গাজী জাহিদুর রহমান। রিইব-এর হোপ প্রকল্পের উদ্যোগে মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষক কুতুব উদ্দীন গাজী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। উক্ত অনুষ্ঠানে সহকারী প্রধান শিক্ষক রেশমা খাতুন ও রিইব-এর হোপ প্রকল্পের ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর নিলীমা মুন্ডা উপস্থিত ছিলেন।

এই প্রশিক্ষণে ২০ জন কিশোরী অংশগ্রহণ করছে এবং তাদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির মাধ্যমে বাল্যবিবাহ ও যৌন হয়রানি প্রতিরোধ করতে সক্ষম করা হচ্ছে। প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্য হলো কিশোরীদেরকে আত্মরক্ষার কৌশল শেখানো এবং তাদের মানসিকভাবে শক্তিশালী করে তোলা।

ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর নিলীমা মুন্ডা বলেন, 'আমাদের এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি কিশোরীদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।' তিনি আরও বলেন যে, এই উদ্যোগের মাধ্যমে কিশোরীরা নিজেদেরকে আরও ভালোভাবে প্রস্তুত করতে পারবে এবং সমাজে একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে কিশোরীদের মধ্যে একত্রিত হয়ে কাজ করার মানসিকতা তৈরি করা হচ্ছে, যা তাদের সামাজিক ও পারিবারিক জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে। এই ধরনের উদ্যোগ কিশোরীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে এবং তাদের জীবনের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সহায়তা করবে।

বাল্যবিবাহ এবং যৌন হয়রানি বাংলাদেশের একটি দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা। এই ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি কিশোরীদেরকে নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করে তোলার পাশাপাশি তাদেরকে সমাজে একটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে সহায়তা করবে। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কিশোরীরা কেবলমাত্র শারীরিক আত্মরক্ষাই শিখবে না, বরং তারা মানসিকভাবে আরও শক্তিশালী হবে এবং সমাজে নিজের অবস্থান সুসংহত করতে পারবে।

উল্লেখ্য, এই ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলেও প্রয়োগ করা যেতে পারে, যা কিশোরীদের মধ্যে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে।

No comments found