ইফতিয়াজ সুমন, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
(ধর্মপাশা-তাহিপুর-জামালগঞ্জ-মধ্যনগর)এই সংসদীয় আসনে ত্রয়োদ্বশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেতে এরই মধ্যে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।তবে কেউ কেউ মোটরসাইকেল শোডাউন করে তৃণমূল নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মনোযোগ আর্কষণের চেষ্টা করেও ব্যর্থ রণেভঙ্গ দিয়েছে। আবার কেউ দলের নীতিনির্ধারণী মহলের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য নানা কৌশল খুঁজে বের করার চেষ্টায় মরিয়া রয়েছে।এআসনে এবার বিএনপির মনোয়ন চান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক-সহ সাংগঠনিক (সিলেট বিভাগ) ও সাবেক ছাত্রদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক-যুগ্ন আহ্বায়ক ও জামালগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সিনি: যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং জামালগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান সরকার। নির্বাচনের দিন যতোই ঘনিয়ে আসছে,ততোই নির্বাচনী মাঠে মাহবুবুর রহমান সরকার একচ্ছত্র আধিপত্যর বহিঃপ্রকাশ ঘটছে। এদিকে বিএনপির নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের কাছে পচ্ছন্দের শীর্ষে রয়েছেন মাহবুবুর রহমান। তবে এই আসনে মনোনয়ন বিবেচনায় মাহবুবুর রহমান বিকল্প স্বপ্নেও ভাবছে না।
জানা গেছে, বিএনপির আদর্শিক ও পরিক্ষিত নেতৃত্ব মাহবুবুর রহমান সরকার কোনো বিকল্প নাই। বিএনপির নীতিনির্ধারণী মহল আসন্ন ত্রয়োদ্বশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক-সহ সাংগঠনিক (সিলেট বিভাগ) মাহবুবুর রহমান সরকার মনোনয়নের সবুজ সংকেত দিয়ে মাঠ গোছানোর পরামর্শ দিয়েছেন বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে। ফলে তিনিই বিএনপির টিকিট পাচ্ছেন এটা প্রায় নিশ্চিত।স্থানীয় বিএনপির রাজনৈতিক অঙ্গনে মাহবুবুর রহমান লৌহমানব হিসেবে পরিচিত। অন্যরা রাজনীতি করে যেখানে পৌঁচ্ছাতে চাই, সেখান থেকে মাহবুবুর রহমানের রাজনীতির শুরু। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিশস্ত,পরিক্ষিত আস্থাভাজন ও আদর্শিক নেতৃত্ব হিসেবে তিনি রাজনীতি করে আসছেন। রাজনৈতিক অঙ্গনের যেসব অর্বাচীনরা এটা বোঝে না, তারাই মাহবুবুর রহমান র সম্পর্কে নেতিবাচক আলোচনা করেন। নির্বাচনী মাঠে সাধারণ মানুষের কাছে বগী আওয়াজ দিয়ে বিএনপি নেতার স্বীকৃতি আদায় করতে চাই। রাজনৈতিক প্রতিযোগীতায় বিজয়ী হতে তার গেম প্ল্যানের তৈরীর যে দক্ষতা রয়েছে, সেটা অনেকের নাই। তিনি যেকোনো সময় যেকোনো গেম প্ল্যান তৈরীর ক্ষমতা রাখেন। যেটা একজন সফল রাজনৈতিক নেতার বড় গুণ।
বিএনপির রাজনীতিতে মাহবুবুর রহমান সরকারের যে অবদান রয়েছে তা স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তার রয়েছে নিজস্ব স্বকীয়তা, সামাজিক মর্যাদা, পারিবারিক ঐতিহ্য, পরিচিতি ও আর্থিক স্বচ্ছলতা, রয়েছে বিশাল কর্মী বাহিনী। তিনি অনেক আগেই আদর্শিক, কর্মী-জনবান্ধব, সৎ রাজনৈতিকের প্রতিকৃতি ও গণ-মানুষের নেতার উপাধি অর্জন করেছেন বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে।
কর্মীরা বলেন ,দেশের সর্ব বৃহত গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল বিএনপি। দলের মনোনয়ন যে কেউ চাইতেই পারে এটা স্বাভাবিক ঘটনা। তবে এখানে মনোনয়ন নিশ্চিত। তিনি আরো বলেন, আমরা মাহবুবুর রহমান সরকার তার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ বিএনপি মাঠ গোছানোর কাজ শুরু করেছি। তিনি বলেন,তাদের টার্গেট দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোটের ব্যবধানে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করা।এবিষয়ে আরও বলেন,শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে যেমন ঐক্যবদ্ধ বিএনপির কোনো বিকল্প নাই, তেমনি সুনামগঞ্জ-১ আসনে বিজয় নিশ্চিত করতে মাহবুবুর রহমান সরকার কোনো বিকল্প নাই। যে যাই বলুক এখানে বিএনপির রাজনীতিতে তিনি অপ্রতিদন্দী নেতৃত্ব। তিনি বলেন,তৃণমূলের নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটারদের মানসিকতা,প্রার্থীর সামাজিক মর্যাদা, কর্মীবাহিনী,পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি,রাজনৈতিক দুরদর্শিতা ও পারিবারিক ঐতিহ্য ইত্যাদি বিবেচনায় প্রার্থী দেয়া হয় মাহবুবুর রহমান সরকার মনোনয়ন শতভাগ নিশ্চিত,এসব বিবেচনায় তার ধারে কাছেও কেউ নেই।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএনপির রাজনীতিতে অপ্রতিদন্দী নেতৃত্ব ও বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী জাতীয়তাবাদী কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক-সহ সাংগঠনিক (সিলেট বিভাগ) ও সাবেক ছাত্রদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য । আদর্শিক ও পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজের অধিকারী গতানুগতিক রাজনীতি করলেও কখানো কোনো লোভ-লালসার স্রোতে গা-ভাসিয়ে দেননি। ছাত্র জীবন থেকেই তিনি প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন। সুনামগঞ্জ-১(ধর্মপাশা-তাহিপুর-জামালগঞ্জ-মধ্যনগর) নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন ও তার পাশাপাশি এই জনপদের মানুষের ভাগ্যেন্নোয়নে কাজ করে যাচ্ছে। তাই এই জনপদের মানুষ তার বিকল্প কোনো নেতৃত্ব কখানো কোনো অবস্থাতেই মানবে না।আগামি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই হাওরাঞ্চলের মানুষের একটাই দাবি মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্ব চাই । প্রয়োজনে তারা স্বপক্ষ ত্যাগ করবেন,তবুও মাহবুবুর রহমান সরকার বিকল্প কোনো নেতৃত্ব কখানো মেনে নিবেন না বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে।