রোববার (১৩ জুলাই) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। নুরুল হক নুর জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বলেন, “জাতীয় নির্বাচন কখন হয়, সেটা তো আমরা বুঝতেছি না। কারণ সংস্কারের প্রশ্নে একটা ঐকমত্যের অগ্রগতি না হলে জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু বলা যাচ্ছে না।”
জাতীয় নির্বাচনের তারিখ নিয়ে তিনি বলেন, “জাতীয় নির্বাচন সেটা ডিসেম্বরে হোক বা এপ্রিল হোক কিংবা প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত যে তারিখ ডিসেম্বর টু জুন; সেখানে আমাদের আপত্তি নাই। জাতীয় নির্বাচনের জন্য যে প্রস্তুতি, সে প্রস্তুতি সম্পন্ন করার জন্য একটা সময়ের দরকার।”
ডাকসুর সাবেক ভিপি নুর আরও বলেন, “কিন্তু আমরা বলছি যে- জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় পর্যায়ের একটা পরিবেশ সৃষ্টির জন্য স্থানীয় নির্বাচনগুলো হতে পারে। সেটার আমরা দাবি জানিয়েছি।”
জাতীয় নির্বাচনের আগে অনেকেই স্থানীয় নির্বাচনের বিরোধিতা করছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার- যাদেরকে আমরা জাতীয় নির্বাচন, সরকার পরিবর্তনের মত জাতীয় প্রেক্ষাপটে একটা দায়িত্ব দিচ্ছি; তাদের উপর যদি আমরা স্থানীয় নির্বাচনের আস্থা রাখতে না পারি- সেটা কিন্তু দুঃখজনক।”
স্থানীয় নির্বাচনের গুরুত্ব তুলে ধরতে গিয়ে নুর বলেন, “এখন তো স্থানীয় পর্যায়ে জনপ্রতিনিধি নাই, সিটি করপোরেশনের মেয়র নাই, কাউন্সিলর নাই, উপজেলা চেয়ারম্যান নাই। তাহলে এ যে উপজেলা চেয়ারম্যানের কাজটা কে করছেন? ইউএনও করতেছে।”
ইউএনওর কাছে অনেকেই প্রভাব বিস্তার করছে মন্তব্য করে গণঅধিকার পরিষদ সভাপতি নুর বলেন, “যার ফলে ইউএনওকে একটা দল চাপ দিলে এদিকে যায়, আরেকটা দল চাপ দিলে ওদিকে আসে। সেখানে যদি একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি থাকত, তাহলে সে বুঝত যে- আমার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে কাজগুলো করতে হবে।”
এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি, সদস্য মুস্তফা নঈম, গোলাম মাওলা মুরাদ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান।