আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৫ হাজার ৯৮টি, যেখানে দায়িত্ব পালন করবেন প্রায় ৯ লাখের বেশি কর্মকর্তা।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট আয়োজনের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এবার সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা হবে ৪৫ হাজার ৯৮টি। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে মোট ভোটকক্ষের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৮০ হাজার ৫৬৪টি।
নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে নির্বিঘ্ন ও স্বচ্ছ রাখার লক্ষ্যে বিপুলসংখ্যক জনবল নিয়োগ করা হবে। কমিশনের হিসাব অনুযায়ী, এবার ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন প্রায় ৯ লাখ ৩১ হাজার ১৩১ জন। এর মধ্যে প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারসহ বিভিন্ন পদে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নির্বাচনী দিন দায়িত্ব পালন করবেন।
নির্বাচনী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এত বিশাল পরিসরে ভোট আয়োজন একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলেও সঠিক পরিকল্পনা, প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তা সফলভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব। নির্বাচন কমিশনও জানিয়েছে, প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিশেষভাবে প্রস্তুত রাখা হবে।
এবারের নির্বাচনে ভোটারদের সুবিধার্থে কিছু কেন্দ্র নতুনভাবে স্থাপন করা হবে, যাতে দূরবর্তী এলাকার ভোটারদেরও সহজে ভোট দেওয়ার সুযোগ থাকে। পাশাপাশি, প্রযুক্তিনির্ভর ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া, স্বচ্ছ ভোটার তালিকা এবং নিরপেক্ষ ভোট পরিচালনা নিশ্চিত করতে একাধিক পর্যায়ের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভোটকেন্দ্রের অবস্থান, ভোটকক্ষের সংখ্যা ও কর্মকর্তা নিয়োগের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করে শিগগিরই সরকারি গেজেট প্রকাশ করা হবে। এতে ভোট গ্রহণের তারিখ, সময়সূচি এবং অন্যান্য দিকনির্দেশনাও উল্লেখ থাকবে।
দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এই নির্বাচনের গুরুত্ব অনেক বেশি। নানা দল ও জোট ইতোমধ্যে প্রার্থী মনোনয়ন, প্রচার ও জনসংযোগ কার্যক্রম শুরু করেছে। নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই ভোটারদের মধ্যে উৎসাহ ও প্রত্যাশা বাড়ছে।