মোহাম্মদ জাশেদ আলম,
সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও শিক্ষকরা অভিযোগ করেছেন, বিভিন্ন বিল অনুমোদনের ক্ষেত্রে তিনি নিয়মিতভাবে উৎকোচ দাবি করেন।
অভিযোগে বলা হয়, উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মৎস্য, এলজিইডি এবং অন্যান্য দপ্তরের প্রকল্প ও কার্যক্রম বাস্তবায়নের ব্যয় হিসাবের বিল অনুমোদনের সময় নির্ধারিত পরিমাণ উৎকোচ দিতে বাধ্য করা হয়। কেউ ঘুষ দিতে অস্বীকৃতি জানালে বিল অনুমোদনের কাজ দীর্ঘসূত্রিতায় ফেলা হয়।
বিশেষ করে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের এককালীন পাওনা অর্থ উত্তোলনের সময় জনপ্রতি ১৫ হাজার টাকার বেশি ঘুষ দিতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন কয়েকজন শিক্ষক।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার সকাল ১১টায় উপজেলা হিসাবরক্ষণ কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে বিভাগীয় হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মঞ্জুর আলম তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন। তিনি অভিযোগকারীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। তবে অভিযোগকারী অধিকাংশ ব্যক্তি অনুপস্থিত থাকায় তদন্ত কার্যক্রম আংশিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে।
তদন্তে উপস্থিত থাকা কয়েকজন ব্যক্তি বলেন, "আমাদের ডেকে আনা হয়েছে, অভিযোগের বিষয়ে আমরা কিছু জানি না। কর্মকর্তার সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকায় আমরা এখানে এসেছি। আমাদের লেনদেন সবসময় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের মাধ্যমেই হয়েছে।"
অবসরপ্রাপ্ত ৪৩ জন শিক্ষকের মধ্যে কয়েকজন অভিযোগ করেছেন, মূল অভিযুক্ত কর্মকর্তার যোগসাজশে কিছু সাক্ষ্যদাতা তদন্তে বিভ্রান্তি ছড়াতে চেষ্টা করছেন। অনেকের অভিযোগ, তদন্ত প্রক্রিয়া গোপন রাখা হয় এবং বাছাই করা সাক্ষীদের ডাকা হয়, যাতে দুর্নীতির তথ্য আড়াল করা যায়।
বিভাগীয় হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মঞ্জুর আলম বলেন, “তদন্ত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে কিছু সাক্ষীকে ডেকে তাদের বক্তব্য গ্রহণ করেছি। তবে যারা উপস্থিত হননি, তারা কেন আসেননি তা আমি বলতে পারছি না।”
তদন্ত শেষে প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।