close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

সিরাজগঞ্জে র‌্যাবের অভিযানে কষ্টি পাথরের মূর্তিসহ দুই পাচারকারী আটক..

জলিলুর রহমান জনি avatar   
জলিলুর রহমান জনি
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় র‌্যাবের অভিযানে মূল্যবান কষ্টি পাথরের মূর্তিসহ দুই পাচারকারী গ্রেফতার।..

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায় র‌্যাব-১২ এর একটি দল অভিযান চালিয়ে একটি মূল্যবান কষ্টি পাথরের মূর্তি উদ্ধার করেছে এবং দুই পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে। রোববার, ২৪ আগস্ট, র‌্যাব-১২ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও কোম্পানি কমান্ডার দীপংকর ঘোষ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। গ্রেফতারকৃত পাচারকারীরা হলেন সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার শ্রীকৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত শফিজ উদ্দিনের ছেলে আমিরুল ইসলাম (৪৫) ও নওগাঁ জেলার মধ্যপাড়া গ্রামের আলমাছ আলীর ছেলে শাহিন আলম (৩০)।

 

উল্লাপাড়া থানার ৩নং উধুনিয়া ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামে শনিবার, ২৩ আগস্ট রাতে তথ্য প্রযুক্তি ও পোগন সংবাদের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানকালে ২৪ ইঞ্চি দৈর্ঘ্য ও ১২ ইঞ্চি প্রস্থের একটি কষ্টি পাথরের মূর্তি উদ্ধার করা হয়, যার ওজন ৩১.৫৪০ কেজি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা মূর্তিটি বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচারের পরিকল্পনা করেছিল বলে স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে উল্লাপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং মূর্তিসহ পাচারকারীদের থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

 

এই ঘটনাটি বাংলাদেশের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কষ্টি পাথর দিয়ে তৈরি মূর্তিগুলি সাধারণত প্রাচীন এবং মূল্যবান, যা দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ। এই ধরনের মূর্তি পাচারের ঘটনা প্রতিরোধ করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।

 

র‌্যাব-১২ এর এই সফল অভিযান দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। এই ধরনের অভিযানগুলি দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং মূল্যবান সম্পদ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সরকারের উচিত এই ধরনের কার্যক্রমকে আরো উৎসাহিত করা যাতে দেশের সম্পদ সুরক্ষিত থাকে এবং পাচারের ঘটনা কমানো যায়।

 

অপরদিকে, এই ধরনের অপরাধের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত। দেশের জনগণকে সচেতন করতে এবং এই ধরনের অপরাধ রোধে গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনকেও এগিয়ে আসা উচিত এই মূল্যবান সম্পদ রক্ষায় এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে।

 

এই ঘটনার ভবিষ্যৎ প্রভাব নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের অভিযানগুলি প্রমাণ করে যে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সম্পদ রক্ষায় কতটা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে, এই সচেতনতা এবং কার্যকর পদক্ষেপের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে।

No comments found