সত্যজিৎ দাস:
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে পুশ-ইন ঘটনা। গত ১৪ দিনে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) সিলেট,মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে মোট ১২৩ বাংলাদেশি নাগরিককে জোরপূর্বক বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এই নাগরিকদের মধ্যে রয়েছে নারী, শিশু ও পরিবারসহ অনেকে,যাদের বেশিরভাগই চিকিৎসা ও কাজের সন্ধানে ভারতে গিয়ে বিএসএফের হাতে আটক হন।
সর্বশেষ বুধবার (১৬ জুলাই) ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত সিলেটের নোয়াকোট, কালাইরাগ, শ্রীপুর ও তামাবিল সীমান্ত দিয়ে ৫৫ জনকে পুশ-ইন করা হয়। এর আগে ৩, ৬ ও ১১ জুলাই মৌলভীবাজার ও শেরপুর সীমান্তেও একইভাবে শতাধিক বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়।
বিজিবির তথ্য অনুযায়ী,বেশিরভাগ ফেরতপ্রাপ্ত নাগরিক ভারতের দিল্লি,মুম্বাই বা গৌহাটিতে আটক হন এবং বৈধ কাগজপত্র না থাকায় তাদের সীমান্তে ঠেলে দেওয়া হয়। বিজিবি সীমান্তে সজাগ অবস্থানে থেকে প্রতিটি ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে এবং ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের সঙ্গে কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।
৪৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল হক জানান,“বিএসএফের এই আচরণ নিয়মবহির্ভূত ও মানবিক দিক থেকে উদ্বেগজনক। আমরা কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছি।”
নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে,এসব পুনরাবৃত্তি ঘটনার মাধ্যমে স্পষ্ট হচ্ছে দুই দেশের সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় সমন্বয়ের ঘাটতি রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্বিগ্ন এবং সীমান্তে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
সীমান্তপথে পুশ-ইন এখন শুধু মানবিক সংকট নয়, বরং তা দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের জন্যও এক অশনিসংকেত। পারস্পরিক সহযোগিতা ছাড়া এ ধরনের পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে।