close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

সিলেট চারখাই-শেওলা মহাসড়ক উন্নয়নে বাধা: জনসাধারণের উদ্বেগ ও করণীয়..

Sabir Khan avatar   
Sabir Khan
সিলেট, মহাসড়ক, উন্নয়ন, প্রতিবাদ, জনকল্যাণ
চারখাই-শেওলা মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্পে টালবাহানা ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সুধীজনদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।..

ছাবির খাঁন, সিলেট :

সিলেটের চারখাই-শেওলা (সুতারকান্দি) মহাসড়কের চার লেন উন্নয়ন প্রকল্পের প্রস্তাবনা ও তার সম্ভাব্যতাকে কেন্দ্র করে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাতে সিলেট নগরীর উপশহরস্থ একটি অভিজাত হোটেলের কনফারেন্স হলে এই সভার আয়োজন করে বিয়ানীবাজার জনকল্যাণ সমিতি সিলেট। 

মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী বলেন, "সিলেটের চারখাই-শেওলা মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুষ চলাচল করেন। সড়কটি ছোট হওয়ায় প্রতিদিন দুর্ঘটনা হচ্ছে। প্রায় ত্রিশ বছর পূর্বে এই সড়ক দিয়ে সীমিত যানবাহন চলাচল করতো, কিন্তু বর্তমানে যানবাহনের সংখ্যা বেড়েছে। তাই এই সড়কে বেড়েছে দুর্ঘটনা। সড়কটি ছোট হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে যানজট লেগে থাকে।" তিনি আরও বলেন, "এই সড়কে চার লেন করার দাবি দীর্ঘদিন থেকে জানিয়ে আসছেন জনসাধারণ। ২০২৩ সালে একনেকের এক সভায় এই সড়কটি চার লেন উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয় এবং ২০২৭ সালের মধ্যে কাজটি শেষ করার কথা। তবে এই প্রকল্পে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।"

বিশেষ অতিথি সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, "বিয়ানীবাজারে কোনো রেলপথ না থাকায় এই মহাসড়ক দ্রুত বাস্তবায়ন জরুরি।" তিনি আরও বলেন, "উপজেলার জনগণের স্বার্থে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি দ্রুত প্রকল্পটি সম্পন্ন করার জোর দাবি জানাচ্ছি।"

মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, "লাখো মানুষের যাতায়াতের এই সড়কটি যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন হয় সেই লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।"

বিয়ানীবাজার জনকল্যাণ সমিতি সিলেটের সভাপতি ডা. এম ফয়েজ আহমদ বলেন, "উপজেলার সুরমা-কুশিয়ারা নদীযুগল একসময় নৌপরিবহনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলেও বর্তমান দ্রুতগতির যুগে নৌপথ অনেকটাই অব্যবহৃত। ফলে সিলেট-চারখাই-শেওলা সড়কটি প্রধান যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।" তিনি আরও বলেন, "এই প্রকল্প অযৌক্তিক অজুহাত এবং অজ্ঞাত মহলের অপতৎপরতার কারণে বন্ধ হয়ে গেলে তা হবে এলাকার জন্য বিরাট ক্ষতির কারণ।"

সভায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, "সিলেট-চারখাই-শেওলা মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন এখন পর্যন্ত বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি। এই প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে এলাকার উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। তাই সকল প্রকার বাধা-বিঘ্ন অপসারণ করে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে প্রকল্পটি সম্পন্ন করতে হবে।"

সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন হেড মাস্টার আব্দুদ দাইয়ান, প্রাক্তন হেড মাস্টার কবির খান, এনাম আহমদ, বিয়ানীবাজার জনকল্যাণ সমিতি সিলেটের সহ সভাপতি এডভোকেট এমাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল আহাদ প্রমুখ। এছাড়াও বিয়ানীবাজার এবং গোলাপগঞ্জের গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সিলেটের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত হবে এবং স্থানীয় অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে। তবে প্রকল্পের বিলম্ব ও সম্ভাব্যতা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হওয়ায় স্থানীয় জনগণ উদ্বিগ্ন।

No comments found