শেরপুরে জোড়গাছা উচ্চ বিদ্যালয়ের সম্পদ বিক্রি, অর্থ আত্মসাৎ ও পরিপত্র অমান্যসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ..

Md Mamunur Rashid avatar   
Md Mamunur Rashid
****

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার জোড়গাছা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে সাবমারসিবল পাম্প, সৌরবিদ্যুৎ ব্যাটারি বিক্রি, পজিশনের ভাড়া টাকা আত্মসাৎ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের জারীকৃত সরকারি পরিপত্র অমান্য করে বাজার থেকে প্রশ্নপত্র ক্রয় করে অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায়ের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

গত ১৪ জুলাই শেরপুর উপজেলা শিক্ষা অফিস বরাবরে বদিউজ্জামান নামের এক অভিভাবক অভিযোগটি জমা দেন।

সেই অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, সরকারি পরিপত্র উপেক্ষা করে প্রধান শিক্ষক বাজার থেকে কেনা প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষা নিয়েছে। এর ফলে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার প্রতি অনীহা দেখা দিচ্ছে। পরীক্ষার প্রবেশপত্র বাবদ গড়ে ১ হাজার ৮০০ টাকা করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে এবং নিম্ন আয়ের পরিবারের শিক্ষার্থীরা এ চাহিদা পূরণে হিমশিম খাচ্ছে। এতে অনেক শিক্ষার্থীর পড়াশোনা ঝুঁকির মুখে পড়েছে।

এছাড়াও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, বিদ্যালয়ের নিজস্ব জমিতে নির্মিত সাতটি দোকানঘর ভাড়া দিয়ে ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা জামানত নেওয়া হলেও তা ব্যাংকে জমা না করে ব্যক্তিগতভাবে আত্মসাৎ করেছেন প্রধান শিক্ষক। ওয়াশরুমের জন্য দেওয়া সাবমারসিবল পাম্প ও ছয়টি সৌরবিদ্যুৎ ব্যাটারির মধ্যে একটি বিক্রি করে এগুলোর অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। ফরমফিলাপ, মাসিক বেতন, পজিশনের ভাড়া ও অন্যান্য আয়-ব্যয়ের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক হিসাব রাখা হয় না, যা বিদ্যালয়ের উন্নয়নে বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। সহকারী প্রধান শিক্ষক থাকলেও তার অনুপস্থিতিতে জুনিয়র শিক্ষককে দিয়ে প্রশাসনিক কাজ করার কারণে শৃঙ্খলা ভঙ্গেরও অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় অভিভাবকদের মধ্যে আলিম, মাফু, রাজু, সোলাইমানসহ অনেকে বলেন, "এসব অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ ঝুঁকির মুখে পড়ছে। তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।"
প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম বলেন, "অভিযোগগুলো মিথ্যা, অভিযোগের ভিত্তিতে জবাবও দিয়েছি।"
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলাম বলেন, "অভিযোগ পেয়েছি, পরে একাডেমিক অফিসার জাকির হোসেনকে তদন্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অচিরেই তদন্তের রিপোর্ট হাতে পাব। যদি অভিযোগ প্রমানিত হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।"

No comments found