স্টাফ রিপোর্টারঃ যশোর জেলার শার্শা উপজেলায় মফিজুল ইসলাম (৪০) নামের এক ব্যক্তি তার প্রতিবেশী এক নারীকে (৩০) দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক সম্পর্কের প্রস্তাব দিচ্ছিলেন।ওই নারী তাতে রাজি না হওয়ায় তিনি প্রায়ই তাকে উত্যক্ত করতেন।গত শুক্রবার, মফিজুল ওই নারীকে একা পেয়ে তার ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। ওই নারী প্রাণ বাঁচাতে এবং নিজেকে রক্ষা করতে ধারালো ব্লেড দিয়ে মফিজুলের পুরুষাঙ্গ কেটে দেন। এতে মফিজুলের পুরুষাঙ্গ গুরুতর জখম হয়।আহত অবস্থায় মফিজুল ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। প্রথমে তিনি কোনো হাসপাতাল বা ক্লিনিকে না গিয়ে গোপনে একজন গ্রামীণ চিকিৎসকের কাছ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। এরপর তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে দ্রুত স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।অন্যদিকে, মফিজুলের পরিবার এখনো কোনো অভিযোগ জানায়নি।এই ঘটনায় স্থানীয় গ্রামবাসী মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। বেশিরভাগ মানুষই ওই নারীর সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন এবং বলেছেন যে তার এই পদক্ষেপ সমাজে এমন অপরাধের বিরুদ্ধে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। অনেকেই মফিজুলের নৈতিক চরিত্রের বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং জানিয়েছেন যে তার বিরুদ্ধে এর আগেও অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগ ছিল। ঘটনার পর থেকেই গ্রামের মানুষজন ওই নারীর পাশে দাঁড়িয়েছেন।ঘটনার পর ওই নারী শার্শা থানায় ধর্ষণের চেষ্টার মামলা দায়ের করেন। পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নেয় এবং তদন্ত শুরু করে। অন্যদিকে, মফিজুলের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সংবাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশ মামলাটি গুরুত্ব সহকারে দেখছে এবং এ বিষয়ে দ্রুত চার্জশিট প্রদানের সম্ভাবনা রয়েছে।এই ঘটনাটি শুধু শার্শা নয়, সমগ্র বাংলাদেশে ব্যাপক আলোচিত হয়েছিল। এটি প্রমাণ করে যে, অনেক সময় আত্মরক্ষা করতে গেলে মানুষ কতটা চরম পদক্ষেপ নিতে পারে।
close
কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!
No comments found