close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

শান্তিগঞ্জে খাদ্য বান্ধব ডিলার পেতে মরিয়া ইয়াবা মামলার আসামী ফয়জুল..

আহনাফ হোসেন avatar   
আহনাফ হোসেন
****
ডেস্ক রিপোর্ট::
 
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাঁক ইউনিয়নের কান্দাগাঁও পয়েন্টের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার হতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন ইয়াবা মামলার  আসামি ফয়জুল হক। তিনি  শিমুলবাঁক ইউনিয়নের ধনপুর গ্রামের আব্দুল কাদিরের ছেলে । ২০১৯ সালে ৯৭ পিছ ইয়াবাসহ  হাতেনাতে  র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার হন এরপর তাঁর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়, যা এখনো আদালতে বিচারাধীন আছে। তবে তিনি সরকারি সহায়তা কার্যক্রমের খাদ্যবান্ধব  ডিলার হওয়ার জন্য জোর তৎপরতা চালালে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হলে শেষ পর্যন্ত তাঁর আবেদন বাতিল করেছে উপজেলা প্রশাসন। এরপরেও প্রশাসন মামলা চলমান আছে কিনা জানতে উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমিক  সুপারভাইজার নুরে আলম সিদ্দিকীকে দায়িত্ব দেয়া হয়।
 
বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করতে মাঠে নামে প্রশাসন। তদন্তকারী কর্মকর্তা নুরে আলম সিদ্দিকী  গত  রবিবার কান্দাগাঁও এলাকায় গিয়ে তদন্ত করেন।
 
তদন্তকারী কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমিক সুপার ভাইজার নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি ওই এলাকায় গিয়ে তদন্ত করে এসেছি৷ উভয় পক্ষের বক্তব্য নেয়া হয়েছে৷ শিগগিরই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে। তবে এলাকার মানুষ বিষয়টি শেষ করার জন্য সময় নিয়েছেন৷ 
 
স্থানীয়দের অভিযোগ, মামলার আসামিকে ডিলারশীপ দেওয়া হলে কর্মসূচির স্বচ্ছতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে। এতে প্রকৃত উপকারভোগীরা বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি সরকারের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন হবে।
 
শিমুলবাঁক ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মোজাহিদ আলী বলেন, ইয়াবাসহ গ্রেফতার হওয়া মামলার  আসামী কিভাবে খাদ্যবান্ধব ডিলার পায়?  এটা আইনগত নয়। তাঁর ডিলার অবশ্যই বাতিল করতে হবে৷ 
 
অভিযুক্ত ফয়জুল হক বলেন, আমি বিএনপির লোক। আমাকে ইয়াবা মামলা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে।  আশা করি আদালতে মামলা নিষ্পত্তি হবে।
 
এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুকান্ত সাহা বলেন, বিষয়টি তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 
এদিকে সচেতন মহল বলছেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি সাধারণ মানুষের মৌলিক সহায়তা কর্মসূচি। সেখানে কোনো মাদক মামলার আসামিকে দায়িত্ব দিলে মানুষের আস্থা নষ্ট হবে।



No comments found