close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা দাবি..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা avatar   
তালায় স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে অভিযোগকে মিথ্যা বলে দাবি করেছেন..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:

সাতক্ষীরার তালায় স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোঃ রফিকুল ইসলাম (দাদু ভাই) তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত অভিযোগকে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। শনিবার (২৩ আগস্ট '২৫) দুপুরে তালা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রফিকুল ইসলাম বলেন, 'একটি মহল আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ও সামাজিক মর্যাদা নষ্ট করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা অভিযোগ ছড়াচ্ছে। প্রকৃত ঘটনা ভিন্ন।'

তিনি জানান, তার ভাইপো ইমরান হোসেন রিপনসহ কয়েকজনকে নিয়ে জেসমিন আক্তার লিপি কেশবপুর এলাকায় একটি মৎস্য ঘের করেন। কিন্তু ঘেরে লোকসান হওয়ায় লিপি তার ভাইপো রিপনের উপর ভয়ভীতি ও চাপ প্রয়োগ করে আটারই মৌজার ২০ শতক জমি রেজিস্ট্রি করে নেন। পরে ২০২২ সালে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সন্ত্রাসীদের ভয় দেখিয়ে রিপনের কাছ থেকে আটারই মৌজার আরও ১৩ শতক জমি ইজারা নিয়ে সেখানে ‘শপিং ভ্যালী ফুড’ নামে একটি সেমাই কারখানা স্থাপন করেন।

রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন, ঐ ১৩ শতক জমির মধ্যে তার পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া প্রায় ১০ শতক জমি রয়েছে। কিন্তু সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও প্রাণনাশের হুমকির কারণে তিনি তখন বাধা দিতে পারেননি। স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশ হলেও কারখানা সরানো হয়নি। সম্প্রতি তারা কারখানা সম্প্রসারণ করতে গেলে তিনি প্রতিবাদ করেন। এর জের ধরে তার নামে মিথ্যা অভিযোগ ও মামলা দায়ের করা হয়েছে।

তিনি বলেন, 'আমি এ ঘটনার নিন্দা জানাই এবং আমার উর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের কাছে আবেদন জানাই—ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক প্রকৃত সত্য উদঘাটন করা হোক।' রফিকুল ইসলাম আরও বলেন যে, তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংস করার জন্য এ ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে এবং তিনি আশা করেন কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।

এদিকে, স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, রফিকুল ইসলাম এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ স্থানীয় রাজনীতির একটি জটিল এবং সংবেদনশীল বিষয়। স্থানীয় রাজনীতিতে তার প্রভাব এবং জনপ্রিয়তা এ ধরনের ঘটনা আরও জটিল করে তুলতে পারে। পরিস্থিতি শান্ত করতে এবং সঠিক সত্য উদঘাটনে প্রশাসনের তৎপরতা জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি এড়াতে এবং স্থানীয় জনগণের মধ্যে শান্তি বজায় রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ বলে মত প্রকাশ করেছেন তারা। এছাড়া, জমি সংক্রান্ত এ ধরনের বিরোধের সমাধানে স্থানীয় প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সক্রিয় ভূমিকার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, যাতে করে শান্তি এবং স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।

No comments found