শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার আটারই গ্রামে একটি মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। পারিবারিক কলহের জেরে মো. হাবিবুর মোড়ল (৩০) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহত হাবিবুর ওই গ্রামের আব্দুল্লাহ মোড়লের ছেলে।
সোমবার (২১ জুলাই '২৫) রাত আনুমানিক ৯টার দিকে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহ থেকেই এই হত্যাকাণ্ডের সূত্রপাত।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাত সাড়ে ১০টার দিকে হাবিবুরের স্ত্রী শান্তা এবং মা পারুল তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের মাথা ও শরীরজুড়ে ধারালো অস্ত্রের একাধিক কোপের চিহ্ন ছিল।
এলাকাবাসীরা জানান, ঘটনার আগে মোটরসাইকেল কেনা নিয়ে স্ত্রী ও মায়ের সঙ্গে হাবিবুরের তীব্র বাকবিতণ্ডা হয়। স্থানীয়দের দাবি অনুযায়ী, তিনি মাদকাসক্ত ছিলেন। এক পর্যায়ে ত্রিমুখী এই বাকবিতণ্ডা হাতাহাতিতে গড়ায়, যা পরিণতি পায় মারাত্মক আঘাতে।
তবে নিহতের পরিবার এখনও হত্যার সঙ্গে কারা জড়িত, সে বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ। এ বিষয়টি ঘটনাকে আরও জটিল করে তুলেছে।
খবর পেয়ে তালা থানা পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে। তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাইনউদ্দিন জানান, “ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। জড়িতদের শনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।”
এই হত্যাকাণ্ড স্থানীয় সমাজে গভীর শোকের সঞ্চার করেছে। এলাকাবাসী হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার কামনা করছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্রুত পদক্ষেপ ও কার্যকর তদন্ত প্রক্রিয়া এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কমাতে সহায়ক হতে পারে। সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে অপরাধ দমনে সচেতনতা ও পারিবারিক মূল্যবোধের প্রতি গুরুত্বারোপ করা উচিত বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্লেষকরা মনে করেন, পারিবারিক কলহের মতো ব্যক্তিগত বিষয়গুলি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ও মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতার মাধ্যমে মোকাবিলা করা উচিত। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে সমাজের সকল স্তরের সচেতনতা ও সহমর্মিতা প্রয়োজন।