close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

সাতক্ষীরার সীমান্তে বিজিবির অভিযানে কোটি টাকার চোরাচালানী পণ্য উদ্ধার..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা avatar   
সাতক্ষীরায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের বিশেষ অভিযানে ভারতীয় শাড়ি ও ঔষধসহ কোটি টাকার চোরাচালানী পণ্য জব্দ, তবে চোরাকারবারীরা পালিয়ে যায়..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:

সাতক্ষীরার সীমান্ত এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কর্তৃক পরিচালিত বিশেষ অভিযানে ১০ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ভারতীয় শাড়ি, ঔষধসহ বিভিন্ন চোরাচালানী পণ্য জব্দ করা হয়েছে। সাতক্ষীরা সদর ও কলারোয়া উপজেলার তলুইগাছা, ঘোনা, পদ্মশাখরা, কালিয়ানী, গাজীপুর, কুশখালী, চান্দুড়িয়া, হিজলদি, ঝাউডাঙ্গা, কাকডাঙ্গা ও ব্যাটালিয়ন সদর বিওপির আওতাধীন বিভিন্ন সীমান্ত থেকে মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট ২০২৫, এই মালামাল জব্দ করা হয়। তবে, বিজিবি এসময় কোন চোরাকারবারীকে আটক করতে সক্ষম হননি। 

বিজিবি সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার তলুইগাছা বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল তেতুলবাড়ি নামক স্থান থেকে ১৫ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার করেছে। অন্যদিকে, ঘোনা বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল দাঁতভাঙ্গা মাঠ থেকে ২৮ হাজার টাকার ভারতীয় ঔষধ উদ্ধার করেছে। পদ্মশাখরা বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল পদ্মশাখরা মাঠ থেকে ১ লাখ ৫ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ উদ্ধার করেছে। কালিয়ানী বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল কালিয়ানী স্থান থেকে ২৮ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় শাড়ি উদ্ধার করেছে। 

গাজীপুর বিওপির আভিযানিক দল অলির ঘর স্থান থেকে ৭০ হাজার টাকা মূল্যের এবং কুশখালী বিওপির আভিযানিক দল শ্মশ্বান স্থান থেকে ৭০ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ উদ্ধার করেছে। কলারোয়া উপজেলার চান্দুড়িয়া বিওপির আভিযানিক দল কাদপুর স্থান থেকে ২০ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার করেছে। হিজলদী বিওপির আভিযানিক দল শিশুতলা স্থান থেকে ৩৫ হাজার টাকা মূল্যের, ঝাউডাঙ্গা বিওপির আভিযানিক দল হঠাৎগঞ্জ স্থান থেকে ৭০ হাজার টাকা মূল্যের এবং কাকডাঙ্গা বিওপির আভিযানিক দল গেড়াখালী ও কেড়াগাছি স্থান থেকে ৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ জব্দ করেছে। 

বিজিবি সাতক্ষীরার ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোঃ আশরাফুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, "চোরাকারবারীরা উক্ত মালামাল শুল্ককর ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশ পাচার করার সময় তা জব্দ করা হয়।" তিনি আরো বলেন, "এভাবে ভারতীয় দ্রব্য সামগ্রী চোরাচালানের কারণে দেশীয় শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবার পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য রাজস্ব আয় হতে বঞ্চিত হচ্ছে।" 

উদ্ধারকৃত মালামাল সাতক্ষীরা কাস্টমস অফিসে জমা রাখা হয়েছে এবং মাদকদ্রব্য গুলো সাতক্ষীরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে সাধারণ ডায়েরি করে জনসম্মুখে ধ্বংসের জন্য বিজিবি স্টোরে জমা রাখা হয়েছে। 

এই অভিযান সফল হলেও, চোরাকারবারীদের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতির প্রয়োজনীয়তাকে ইঙ্গিত দেয়। সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা এবং চোরাচালান দীর্ঘমেয়াদে প্রতিরোধ করার জন্য প্রয়োজন স্থানীয় জনসাধারণের সহায়তা এবং বিজিবির আরও কার্যকরী পদক্ষেপ।

No comments found