শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:
সাতক্ষীরার প্রথম শ্রেণির পৌরসভার অধীনে ৭নং ওয়ার্ডের ভাঙাচোরা সড়ক ও জরাজীর্ণ কালভার্ট স্থানীয় জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের অনুপযোগী এসব সড়ক সংস্কারের জন্য এলাকাবাসী বারবার পৌর কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে আসলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। সামান্য বৃষ্টিতেই এসব সড়কে দুই থেকে আড়াই ফুট পানি জমে যাওয়ার কারণে শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, রোগী ও সাধারণ মানুষকে প্রতিদিনই ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ইটাগাছা পুলিশ ফাঁড়ির সামনে থেকে হাসান হোসেনের মসজিদ পর্যন্ত, কুকরালী মোড় থেকে ফুলতলা পর্যন্ত, আহম্মেদ আলীর বাড়ি থেকে বাগবাটি কালী মন্দির পর্যন্ত, রাজ্জাকের মোড় থেকে পাঁচ আনি পর্যন্ত, ওয়াজেদের মোড় থেকে প্রাথমিক স্কুল পর্যন্ত, কাশেম পাগলের মোড় থেকে পাগলপাড়া পর্যন্ত এবং ঘড়িবিলা মোড় থেকে আলমের বাড়ি পর্যন্ত সড়কগুলোর অবস্থা অত্যন্ত নাজুক।
খড়িবিলা গ্রামের বাসিন্দা ইউসুফ আলী জানান, 'আমরা প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় বাস করলেও উন্নয়ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। ছেলেমেয়েরা স্কুলে যেতে প্রচণ্ড ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। দ্রুত সংস্কার না হলে এই দুর্ভোগ আরও বাড়বে।' স্থানীয় ভ্যানচালক মো. সুমন বলেন, 'এখন এই রাস্তাগুলো দিয়ে ভ্যান চালানোই কষ্টকর। ভ্যান নষ্ট হয়ে যায়। দ্রুত সংস্কার হলে গ্রামবাসীর অনেক উপকার হবে।'
স্কুলগামী শিক্ষার্থী সাজ্জাত হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, '৩-৪ বছর ধরে এই সড়কের সমস্যায় ভুগছি। স্কুলে যেতে প্রচণ্ড অসুবিধা হয়। চেয়ারম্যান-মেম্বাররা শুধু ভোটের সময় আসেন। আমরা চাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নিক।'
পৌর কর্তৃপক্ষের প্রতি এলাকাবাসীর দাবি, দ্রুত উদ্যোগ নিয়ে জরাজীর্ণ সড়ক ও কালভার্ট সংস্কার না করলে তাদের দুর্ভোগ আরও বাড়বে। তারা আশা করছেন যে, পৌরসভা কর্তৃপক্ষ শীঘ্রই কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং এলাকার অবকাঠামোগত উন্নয়নে সচেষ্ট হবে। এই সমস্যা সমাধানে স্থানীয় প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সড়ক ও কালভার্টের অবস্থা উন্নত না হলে স্থানীয় অর্থনীতি ও শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এছাড়া, স্থানীয় জনগণের দুর্ভোগ কমাতে এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে অবকাঠামোগত উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি। সরকার যদি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করে, তবে এই সমস্যা কেবল আরও জটিল হবে এবং ভবিষ্যতে আরও বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে স্থানীয় জনগণকে।