শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:
বাংলাদেশ পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ পরীক্ষা উপলক্ষে সাতক্ষীরায় একটি বিশেষ ব্রিফিং প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট ২০২৫ তারিখে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের আয়োজনে পুলিশ লাইন্স ড্রিলশেডে এই প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সাতক্ষীরা জেলার প্রার্থীদের জন্য ১৩, ১৪ ও ১৫ আগস্ট তারিখে শারীরিক মাপ ও কাগজপত্র যাচাইকরণ এবং শারীরিক সক্ষমতা যাচাই পরীক্ষা, ২৯ আগস্ট লিখিত পরীক্ষা এবং ০৬ সেপ্টেম্বর মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার ও নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম এই ব্রিফিং প্যারেডে উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের নিয়োগ প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ রাখতে এবং পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, "নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে প্রতিটি ধাপ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে হবে।" এছাড়াও, তিনি বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করেন যাতে নিয়োগ কার্যক্রম কোনো ধরনের অনিয়ম ছাড়াই সম্পন্ন হয়।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাইফুল্লাহ মোঃ নাছির, পুলিশ সুপার (প্ল্যানিং অ্যান্ড অপারেশনস), এপিবিএন হেডকোয়ার্টার্স, ঢাকা; মুকিত হাসান খাঁন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ); মিথুন সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি); মোঃ শাহীনুর চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল); সহকারি পুলিশ সুপার (তালা সার্কেল) মোঃ হাসানুর রহমান; সহকারী পুলিশ সুপার (শিক্ষানবিশ) মোঃ আনোয়ারুল কবীর ও মোঃ শফিকুল ইসলাম সহ জেলা পুলিশের সকল পদমর্যাদার সদস্যগণ।
এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সাতক্ষীরায় অপেক্ষমাণ প্রার্থীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপের স্বচ্ছতা এবং পেশাদারিত্ব নিশ্চিত করতে জেলা পুলিশ প্রশাসন সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সফল হলে তা স্থানীয় যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করবে এবং পুলিশ বাহিনীর দক্ষতা ও জনসম্পৃক্ততা বাড়াবে।
নিয়োগ পরীক্ষার এই পর্যায়ে শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতার মূল্যায়ন করা হবে, যা পুলিশের কাজের জন্য অপরিহার্য। এই পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন হলে সাতক্ষীরার বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নতুন কনস্টেবলরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। স্থানীয় জনগণও এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা এবং কার্যকারিতা দেখে সন্তুষ্টির প্রকাশ করেছে।
সাতক্ষীরার পুলিশ প্রশাসন আশা করছে, এই নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থানীয় যুবকদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে এবং স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।