close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

সাতক্ষীরায় শিক্ষকের ওপর হা*মলা: গ্রেপ্তা*রের দাবি*তে মান*ববন্ধন..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা avatar   
সাতক্ষীরার বিদ্যালয়ে শিক্ষকের ওপর হামলার প্রতিবাদে ও আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বল্লী মুজিবুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. শফিকুর রহমানকে বিদ্যালয়ে ঢুকে লাঠি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় জড়িত বিএনপি ও ছাত্রদল নেতাদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

সোমবার দুপুরে বিদ্যালয়ের ফটকে আয়োজিত এই মানববন্ধনে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অংশ নেন। মানববন্ধন থেকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে বক্তারা বলেন, এই সময়ের মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার করা না হলে শিক্ষার্থীরা থানাঘেরাও কর্মসূচি পালন করবে।

ঘটনার সূত্রপাত হয় রবিবার সকালে, যখন এক স্কুল ছাত্রীর সঙ্গে গল্প করার অভিযোগে স্থানীয় বিএনপি ও ছাত্রদল নেতারা সহকারী শিক্ষক শফিকুর রহমানকে পিটিয়ে জনসম্মুখে টেনে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেন। এসময় লোহার রড, লাঠি ও পাইপ ব্যবহার করা হয়।

ঘটনার পর শফিকুর রহমান বাদী হয়ে সদর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। এজাহারে বল্লী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সেলিম আক্তার মন্টু, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য শহিনুর রহমান, মো. কামরুজ্জামান, রবিউল ইসলাম, বিএনপি কর্মী আব্দুল গনি, ইউপি সদস্য আব্দুর রইচ, ইসলাম কবিরাজ, বল্লী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামানসহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এ কে এম আজারুজ্জামান মুকুল, শিক্ষক প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেন, বল্লী নতুন বাজার কমিটির সভাপতি ডা. অলিউর রহমান, সিটি কলেজের গণিত প্রভাষক শামসুর রহমান, দশম শ্রেণীর ছাত্রী রোশনি আক্তার ও নবম শ্রেণীর ছাত্রী রোকসানা আক্তার। তারা এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পক্ষ থেকে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো গ্রেপ্তার বা অভিযানের খবর পাওয়া যায়নি, যা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে।

বিশ্লেষকদের মতে, এ ধরনের ঘটনা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে পারে এবং শিক্ষার্থীদের মানসিক উন্নয়নে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়া, রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করা হলে তা শিক্ষার পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় সমাজে উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন।

No comments found