শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:
সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক চত্বরে শনিবার (১৬ আগস্ট '২৫) সন্ধ্যায় এক বিতর্কিত কর্মসূচিতে অংশ নেয়া বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা সাংস্কৃতিক ও গণমাধ্যমের কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ছবি লক্ষ্য করে জুতা নিক্ষেপ করেছে। এই কর্মসূচিটি মূলত 'কালচারাল ফ্যাসিস্ট' বলে আখ্যায়িত করা ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাতক্ষীরার সাবেক আহবায়ক আরাফাত হোসাইন, আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক আক্তারুল ইসলাম আক্তার এবং যুগ্ম আহ্বায়ক ঝুমা মারিয়ামসহ বেশ কয়েকজন এই কর্মসূচিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন।
আক্তারুল ইসলাম আক্তার বলেন, 'বিগত ১৬ বছরে ফ্যাসিস্ট সরকার শুধু সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রেই নয়, সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও ফ্যাসিজম কায়েম করেছিল। মুজিববাদী চেতনাকে ব্যবহার করে এই সাংস্কৃতিক ফ্যাসিজম গড়ে তোলা হয়েছিল।' তার বক্তব্যে তিনি বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির তীব্র সমালোচনা করেন এবং সাংস্কৃতিক ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থানকে স্পষ্ট করেন।
যুগ্ম আহ্বায়ক ঝুমা মারিয়াম জানান, 'যারা শেখ মুজিবের মৃত্যুবার্ষিকীতে তাকে স্মরণ করে পোস্ট দিয়েছেন, তারা দেশে পুনরায় ‘সাংস্কৃতিক ফ্যাসিবাদ’ প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন।' তিনি অভিযোগ করেন যে এসব তারকারা সমাজে সাংস্কৃতিক একচেটিয়াতন্ত্র কায়েমের চেষ্টা করছেন।
এই কর্মসূচিতে গায়ক লিঙ্কন (আর্টসেল), রাহুল আনন্দ, সিয়াম (এসপি ক্রিয়েশন), অরুণা বিশ্বাসসহ বিভিন্ন তারকার ছবি লক্ষ্য করে জুতা নিক্ষেপ করা হয়। এ সময় হাতে হাতে স্লোগান দিয়ে তাদের প্রতি অনাস্থা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন উপস্থিত বিক্ষুব্ধ জনতা।
এ ধরনের কর্মসূচি সমাজে বিভাজন ও অশান্তির ইঙ্গিত দেয়। এর ফলে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিরোধ ও উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের ঘটনা সমাজে সহিষ্ণুতা ও সহমর্মিতার অভাবকে তুলে ধরে। সমাজে ভিন্নমত গ্রহণের সংস্কৃতি গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা এখন আগের চেয়ে আরও বেশি প্রয়োজন।