close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

সাতক্ষীরায় রুফটপ সোলার প্যানেল স্থাপন নিয়ে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগ..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা avatar   
সাতক্ষীরায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে রুফটপ সোলার প্যানেল স্থাপন নিয়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:

সাতক্ষীরা জেলার বিদ্যুৎ সাশ্রয় এবং পরিবেশ সুরক্ষার লক্ষ্যে রুফটপ সোলার প্যানেল স্থাপন বিষয়ক একটি গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫ তারিখে জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে এই সভার সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ।

সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মাশরুবা ফেরদৌস, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিষ্ণুপদ পাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এছাড়া সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মোঃ জুলফিকার রহমান, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সরদার শরীফুল ইসলাম এবং অন্যান্য সরকারি দপ্তরের প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা সোলার প্যানেল স্থাপনের গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আলোচনা করেন। আলোচনায় বলা হয়, দেশের বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে এবং জ্বালানি সাশ্রয়ের লক্ষ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠান, স্কুল, কলেজ এবং মাদ্রাসায় সোলার প্যানেল স্থাপন অত্যাবশ্যক। বর্তমান সরকার এ বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেছে এবং সেই নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করার উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।

সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মোঃ জুলফিকার রহমান বলেন, "সোলার প্যানেল স্থাপন আমাদের দেশের বিদ্যুৎ খাতকে স্বনির্ভর করে তুলতে পারে। এটি পরিবেশ বান্ধব এবং দীর্ঘমেয়াদীভাবে অর্থনৈতিক সাশ্রয় নিশ্চিত করতে পারে।"

পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সরদার শরীফুল ইসলাম বলেন, "রুফটপ সোলার প্যানেল স্থাপন আমাদের পরিবেশকে রক্ষা করতে সহায়ক হবে। এটি কার্বন নিঃসরণ কমানোর মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা করতে সাহায্য করবে।"

এই উদ্যোগের মাধ্যমে সাতক্ষীরা জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহের ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং পরিবেশ সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। সভায় উপস্থিত সকলেই এই উদ্যোগকে সফল করতে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।

এ ধরনের উদ্যোগ দেশের অন্যান্য জেলার জন্যও উদাহরণ হতে পারে, যা সারাদেশে জ্বালানি সাশ্রয় এবং পরিবেশ সুরক্ষায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারে। ভবিষ্যতে এই প্রকল্পের সফল বাস্তবায়ন কিভাবে হবে এবং এর প্রভাব কেমন হবে, তা নিয়ে বিশদ বিশ্লেষণ ও পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে।

Nema komentara