শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা :
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় চার দিন নিখোঁজ থাকার পর এক নির্মাণ শ্রমিকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৭ আগস্ট ২০২৫) সকালে স্থানীয় কাজির হাট কলেজের সামনে একটি মৎস্যঘের থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত ইমরান হোসেন (২৭) উপজেলার কেরালকাতা গ্রামের ছদর উদ্দীনের ছেলে এবং পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি ছিলেন। তিনি দুই কন্যা সন্তানের জনক এবং তার দুই স্ত্রী নিয়ে পরিবারের মধ্যে বিরোধ ছিল।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ সাইফুল ইসলাম জানান, গত ২৪ আগস্ট থেকে ইমরান নিখোঁজ ছিলেন। তার পরিবারের পক্ষ থেকে ২৬ আগস্ট একটি সাধারণ ডায়েরিও করা হয়েছিল। স্থানীয় গ্রাম পুলিশ মরদেহের খবর দেয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে।
প্রাথমিকভাবে এটি একটি হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে মৃত্যুর কারণ এবং এর সাথে জড়িত ব্যক্তিদের সনাক্ত করতে পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। ইমরানের পরিবারের মধ্যে চলমান বিরোধ, বিশেষ করে দুই স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক, তদন্তকারীদের বিশেষ নজরে রয়েছে। পুলিশ স্থানীয়দের সাথে কথা বলে এবং সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে ঘটনার সূত্র খুঁজছে।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ইমরানের পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা তদন্তে সহযোগিতা করছেন বলে জানিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা এই ঘটনার পর থেকে উদ্বিগ্ন এবং দ্রুত বিচার দাবি করছেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আশা করছে, শিগগিরই এই হত্যাকাণ্ডের পেছনের রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে। এই ঘটনার ফলে স্থানীয় এলাকায় নিরাপত্তার বিষয়টি আরও গুরুত্ব পেয়েছে এবং পুলিশ এলাকায় টহল বৃদ্ধি করেছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ধরনের ঘটনা সমাজে পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্কের অবনতির প্রতিচ্ছবি। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই ধরনের পারিবারিক বিরোধ প্রায়ই সহিংসতার দিকে ধাবিত হয় এবং এর প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা জরুরি।