শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:
সাতক্ষীরা জেলা কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ১১ মামলার আসামি সাইফুল ইসলামকে (২৬) র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) আটক করেছে। বুধবার (২০ আগস্ট ২০২৫) দুপুরে সাতক্ষীরা পৌরসভার চালতেতলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাইফুল ইসলাম সাতক্ষীরা পৌরসভার ইটাগাছা এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে।
সাতক্ষীরা র্যাবের ক্যাম্প কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম জানান, প্রাথমিক তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, সাইফুল অস্ত্র, বিস্ফোরক, নারী ও শিশু নির্যাতনসহ ১১টি মামলার আসামি হিসেবে সাতক্ষীরা জেলা কারাগারে অন্তরীণ ছিলেন। তিনি ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় কারাগারের গেটের তালা ভেঙে পালিয়ে যান। পালানোর পর তিনি জেলসহচরদের সাথে নিয়ে দেশী অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পেট্রোল বোমা ও ককটেল নিক্ষেপ করে জেলা কারাগারে অগ্নিসংযোগ করেন এবং ব্যাপক ক্ষতিসাধন করেন।
পালানোর পর সাইফুল ইসলাম বিভিন্ন এলাকায় নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকেন, যার ফলে সাতক্ষীরা সদর থানায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর অবশেষে র্যাবের একটি বিশেষ টিম তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। সাইফুলের গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এলাকায় তাদের দৃঢ় অবস্থান পুনরায় প্রমাণ করেছে।
ক্যাম্প কমান্ডার রেজাউল করিম জানান, সাইফুলের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে সাতক্ষীরা সদর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। তার গ্রেপ্তারের ফলে এলাকায় শান্তি পুনরুদ্ধার এবং জনগণের মধ্যে নিরাপত্তাবোধ ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা সফল হয়েছে।
প্রেক্ষাপট ও বিশ্লেষণ: সাইফুল ইসলামের পালানোর ঘটনা সাতক্ষীরায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। তার নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড স্থানীয় জনগণের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করে এবং আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলে। এ ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে কারাগারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আধুনিকায়ন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীলতার উপর আরও গুরুত্ব দেওয়া উচিত। এছাড়াও, স্থানীয় জনগণকে সতর্ক এবং সচেতন করার জন্য প্রশাসনের তরফ থেকে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
সাইফুল ইসলামের গ্রেপ্তারের ফলে এলাকায় শান্তি পুনরুদ্ধার এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষার প্রচেষ্টা পুনরায় সফল হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।