close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

সাতক্ষীরায় অবৈধপথে ভারতীয় পণ্য আমদানির সময় ৫০ লক্ষ টাকার সামগ্রীসহ চারজন আটক..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা avatar   
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ভারত থেকে অবৈধপথে আনার সময় ৫০ লক্ষ টাকার পণ্যসহ চারজনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কৈখালি ইউনিয়নের সুন্দরবন খালে সেনাবাহিনীর সদস্যরা একটি সফল অভিযানে ভারত থেকে অবৈধপথে আনা ৫০ লক্ষ টাকার পণ্যসহ চারজনকে আটক করেছে। শুক্রবার (৮ আগস্ট, ২০২৫) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে এ অভিযান পরিচালিত হয়। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছেন শ্যামনগর উপজেলার কৈখালি গ্রামের আজিজুল হক, দেলোয়ার হোসেন, আশরাফ হোসেন এবং সোবহান মোল্লা।

স্থানীয় কালিগঞ্জ সেনাবাহিনীর ক্যাম্প কমান্ডার মেজর ইফতেখার হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, একটি বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে সেনাবাহিনী ৮১৪ পিস ক্যান্সারের ঔষধ, ১৬৮ পিস বিটেক্স মলম, ১৫৯৯০ পিস ডেরাসিরক্স, ৪৮৯ পিস বাট-এর দাওয়া, ১০২০০ পিস মেল্টিওক্সালেন, ৪০ পিস ভালগান এবং ৬৬৪০০ পিস পাতার বিড়ি জব্দ করে। এছাড়াও ১০ লক্ষ বাপ্পা বিড়ি এবং ১ লক্ষ ৩৪০০ পিস চাচা বিড়ি সহ মোট ১২ লক্ষ ৮০০ পিস পাতার বিড়ি উদ্ধার করা হয়। মোট ১৫টি বস্তায় এই পণ্যগুলো ছিল।

শুধু অবৈধপথে ভারতীয় পণ্য আমদানির অভিযোগেই নয়, বরং এই ধরনের পণ্য সামগ্রী পাচার দেশের অর্থনীতি এবং জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি বড় হুমকি সৃষ্টি করে। আর্থিক দিক থেকে দেশীয় বাজারের জন্য ক্ষতিকর এই ধরনের অবৈধ আমদানি ঠেকাতে সেনাবাহিনীর এই ধরনের অভিযান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

অভিযানে জব্দকৃত পণ্য এবং আটককৃত চারজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শ্যামনগর থানায় সোপর্দ করা হয়। শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন কবীর মোল্লা জানিয়েছেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে স্থানীয় জনগণের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। একটি অংশ সেনাবাহিনীর এই উদ্যোগকে প্রশংসা করেছে, অন্যদিকে অনেকে এই ধরনের অবৈধ কার্যকলাপের স্থায়ী সমাধান চায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সীমান্তবর্তী এলাকায় এমন বেআইনি কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় প্রশাসন এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় বাড়ানো প্রয়োজন। এছাড়া সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সাধারণ জনগণকেও এই ধরনের কার্যকলাপ প্রতিরোধে অংশগ্রহণে উদ্দীপিত করা যেতে পারে।

এই অভিযানের মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হলো যে সীমান্ত চোরাচালান রোধে সেনাবাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থার যৌথ প্রচেষ্টা অত্যন্ত কার্যকর। ভবিষ্যতে এমন ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখা হলে অবৈধ চোরাচালান নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে।

No comments found