close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

সাতক্ষীরায় অবৈধ ‘নাইন্টি পাইপ’ উচ্ছেদে প্রশাসনের অভিযান..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা avatar   
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে অবৈধ ‘নাইন্টি পাইপ’ উচ্ছেদে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও প্রশাসনের যৌথ অভিযান শুরু..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে অবৈধ ‘নাইন্টি পাইপ’ উচ্ছেদে অভিযান শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও স্থানীয় প্রশাসন। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট '২৫) সকাল থেকে শ্যামনগরের ৫ নম্বর পোল্ডারের অন্তর্গত আটুলিয়া ও বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন এলাকায় এ অভিযান পরিচালিত হয়। পাউবো সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে বেড়িবাঁধের ভেতর দিয়ে চিংড়ি ঘের মালিকরা এই পাইপ ব্যবহার করে তাদের ঘেরে পানি তুলছিলেন, যা বাঁধের স্থায়িত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়।

এ অভিযান পরিচালনায় শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড যৌথভাবে উদ্যোগ নেয়। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ইমরান সরদার, উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফরিদুল ইসলাম এবং স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারগণ। প্রশাসনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা জানান, কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি ও ঘের মালিক সরকারি বিধি অমান্য করে বেড়িবাঁধে ‘নাইন্টি পাইপ’ লাগিয়ে পানি উত্তোলন করতেন। এর ফলে বাঁধ দুর্বল হয়ে পড়ছিল এবং নদীর জোয়ারের পানি গ্রামে প্রবেশ করে চাষাবাদ ও বসতভিটা হুমকির মুখে ফেলছিল।

উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ইমরান সরদার বলেন, "মাননীয় উপদেষ্টা পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় প্রশাসনের সহযোগিতায় উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল অবৈধ পাইপ অপসারণ করা হবে। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বেড়িবাঁধের গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে। তাই এ ধরনের অবৈধ কার্যকলাপ ভবিষ্যতে বড় ধরনের দুর্যোগের কারণ হতে পারে।"

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রনী খাতুন বলেন, "পাউবো’র বেড়িবাঁধে অবৈধভাবে কোনো পাইপ বসানোর সুযোগ নেই। যেসব পাইপে বাঁধের ক্ষতি হচ্ছে, সেগুলো দ্রুত উচ্ছেদ করা হচ্ছে। পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য এবং উপকূল রক্ষায় এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।"

স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশাসনের এ উদ্যোগে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং দাবি করেছেন যে ভবিষ্যতে কেউ যেন এ ধরনের অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ না করতে পারে। অভিযানের ফলে উপকূলীয় অঞ্চলের পরিবেশ সুরক্ষা এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

No comments found