close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

সাতক্ষীরায় নেক্সাস ফেস্ট: জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যুবশক্তির আহ্বান..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা avatar   
সাতক্ষীরায় শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী নেক্সাস ফেস্ট, জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যুব সমাজের ভূমিকা বৃদ্ধির লক্ষ্যে..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:

সাতক্ষীরায় জলবায়ু পরিবর্তনের বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এবং সামাজিক সংহতি বৃদ্ধির লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে দুই দিনব্যাপী নেক্সাস ফেস্ট উৎসব। 'যুবার হাতেই, দিন বদল' এই শ্লোগানে অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ এবং সিডো সংস্থার উদ্যোগে আয়োজিত এই উৎসবে স্থানীয় তরুণদের এবং তৃণমূল জনগোষ্ঠীর কণ্ঠস্বরকে নীতি নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় প্রতিফলিত করার প্রচেষ্টা করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকিত হাসান খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সঞ্জিত কুমার দাস, ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক দেওয়ান সোহেল রানা, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম অফিসার ফাতেমা জোহরা সহ আরও অনেকে।

উৎসবের মূল উদ্দেশ্য ছিল জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সমন্বিত সমাধানের পথ খুঁজে বের করা। এই উদ্যোগের মাধ্যমে তরুণদের এবং তৃণমূল জনগণের কণ্ঠস্বরকে স্থানীয় এবং জাতীয় নীতি নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে একটি বর্ণাঢ্য যুব-সম্প্রীতি র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়, যা জেলা শিল্পকলা একাডেমি থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালি শেষে একাডেমিতে এসে উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সঙ্গে মিলিত হয়।

উৎসবে ইন্টারেক্টিভ প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করে স্থানীয় তরুণ সংগঠন, সরকারি ও অংশীদার প্রতিষ্ঠানগুলো। এতে তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও উদ্ভাবনী সমাধান তুলে ধরা হয়। এছাড়াও, তরুণদের গবেষণা, বিতর্ক ও নীতি সংলাপের মাধ্যমে স্থানীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আলোচিত হয়।

দুই দিনব্যাপী এই উৎসবে স্থানীয় সংস্কৃতি ও সমস্যা তুলে ধরার জন্য জারি গান, গম্ভীরা, যাত্রাপালা ও থিয়েটারের মতো লোকজ পরিবেশনার আয়োজন করা হয়েছে। সামাজিক সংহতি বৃদ্ধির জন্য খেলাধুলা ও সৃজনশীল ক্যাম্পেইনেরও আয়োজন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ফুটবল রেস, সাইকেল রেসসহ নানা ধরনের খেলাধুলারও ব্যবস্থা ছিল।

এই ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণ এবং তরুণ সমাজের মধ্যে ঐক্য, সহমর্মিতা ও সম্মান প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। উৎসবে অংশগ্রহণকারীরা একটি ন্যায্য ও স্থিতিশীল সমাজ গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন।

উৎসবের মাধ্যমে তরুণরা জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় তাদের ভূমিকা সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠবে এবং এই চ্যালেঞ্জের সমাধানে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের উদ্যোগ আরও ব্যাপকভাবে আয়োজনের মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে।

No comments found