শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:
সাতক্ষীরা পৌরসভায় 'নিজ নিজ পরিবেশ পরিষ্কার রাখুন, ডেঙ্গু মুক্ত থাকুন' প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধের জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও মশার উৎপত্তিস্থল দূরীকরণের লক্ষ্যে এক ক্লিনিং ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট ২০২৫) সকালে পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং ব্র্যাক-এর যৌথ উদ্যোগে জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিস বাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আয়োজনে এবং সাতক্ষীরা পৌরসভার সহযোগিতায় এই ক্যাম্পেইন শুরু হয়।
ক্যাম্পেইনের মূল উদ্দেশ্য ছিলো মশাবাহিত রোগ যেমন ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং মশার উপদ্রব হ্রাস করা। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় জমে থাকা ময়লা আবর্জনা ও নোংরা পানি পরিষ্কার করা হয়। এই অভিযানে অংশগ্রহণ করেন ব্রাকের সিসিএইচ প্রজেক্ট ডিস্টিক ম্যানেজার মোঃ সোহেল রানা, শ্যামনগর উপজেলার প্রোগ্রাম অফিসার মোঃ গালিব, ব্রাকের সিসিএইচ প্রজেক্ট ম্যানেজার সাদিয়া সুলতানা, এবং সমন্নয়ক সুশীলন প্রজেক্ট অফিসার দেব রঞ্জন বিশ্বাসসহ অন্যান্যরা।
ব্রাকের সিসিএইচ প্রজেক্ট ডিস্টিক ম্যানেজার মোঃ সোহেল রানা বলেন, "আমরা এই সাতক্ষীরা জেলার প্রতিটি ওয়ার্ডে ক্যাম্পেইন করব। আজ আমরা দুই নাম্বার ওয়ার্ডে ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করলাম। আমাদের কাজ চলমান থাকবে।" শ্যামনগর উপজেলার প্রোগ্রাম অফিসার মোঃ গালিব বলেন, "স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এবং ব্র্যাক-এর যৌথ উদ্যোগে মানুষকে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতন করা হচ্ছে।"
সাদিয়া সুলতানা বলেন, "সাতক্ষীরায় মশা ও ডেঙ্গুমুক্ত রাখতে হলে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। প্রতিটি বাড়ির আঙিনা, ছাদ, ফুলের টব, টায়ার, পরিত্যক্ত পাত্র, এমনকি এসির জলীয় অংশেও যদি জল জমে থাকে, তাহলে সেখানে মশার লার্ভা জন্ম নিতে পারে। তাই নিয়মিতভাবে এই স্থানগুলো পরিষ্কার রাখা অপরিহার্য।"
সমন্নয়ক সুশীলন প্রজেক্ট অফিসার দেব রঞ্জন বিশ্বাস বলেন, "সাতক্ষীরা পৌরসভাকে পরিচ্ছন্ন রাখতে হলে যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলা যাবে না। ময়লা আবর্জনা অবশ্যই ডাস্টবিনে ফেলতে হবে, তাহলে এই শহর সুন্দর থাকবে। আসুন আমরা সবাই মিলে একটি সুন্দর সাতক্ষীরা গড়ি।"
এই ক্যাম্পেইন সাতক্ষীরা পৌরসভায় জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মশাবাহিত রোগের প্রকোপ হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে মশার উৎপত্তিস্থল সম্পর্কে সচেতন করা হচ্ছে এবং তাদের নিজেদের পরিবেশ পরিষ্কার রাখার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে।
