শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ৯ নং ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে স্থানীয় যুবদলের ছয়জন নেতাকর্মী আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াতে যোগদান করেন। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট '২৫) বিকেল ৪টায় নবী সানার মার্কেটে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের নমিনী, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক।
প্রধান অতিথি মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক তার বক্তব্যে জামায়াতের আগামী দিনের রাজনৈতিক কর্মপন্থা, সংগঠনের লক্ষ্য ও আদর্শ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, "জামায়াত জনগণের আস্থা ও সমর্থন অর্জনের মাধ্যমে দুঃখ-দুর্দশা লাঘব ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে অঙ্গীকারবদ্ধ।"
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন জামায়াতে ইসলামী ৯ নং ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের আমীর মোঃ জাকির হোসাইন। তার বক্তব্যে তিনি বলেন, "নতুন যোগদানকারী নেতাকর্মীরা দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করবে।"
অনুষ্ঠানে উপস্থিত নতুন যোগদানকারী যুবদলের ছয় নেতাকর্মী সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ করে মুহাদ্দিস আব্দুল খালেকের হাতে তুলে দেন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন। জামায়াতের নেতৃবৃন্দ তাদের স্বাগত জানিয়ে আশা প্রকাশ করেন, নতুনভাবে যুক্ত হওয়া নেতাকর্মীরা সংগঠনের কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করবে।
এ সময় জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুর ওয়ারেশ, উপজেলা সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক সহিদুর রহমান, মাওলানা আব্দুস সবুর, সদর উপজেলা জামায়াতের মিডিয়া বিভাগের সভাপতি মাওলানা আনিছুর রহমান, বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরিন সাতক্ষীরা জেলা সভাপতি ও হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রা) ইসলামীয়া কামিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা মনিরুল ইসলাম বিলালীসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে ঘিরে এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে। জামায়াতের নেতাকর্মীরা জানান, নির্বাচনী অফিস উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নে সংগঠনের কার্যক্রম নতুন গতি পেল। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ইউনিয়ন জামায়াতের টিম সদস্য মাওলানা মনিরুল ইসলাম ফারুকী।
এই উদ্বোধন ও যোগদান অনুষ্ঠান স্থানীয় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যুবদলের এই সদস্যদের যোগদানে জামায়াতের স্থানীয় প্রভাব বৃদ্ধি পাবে এবং নির্বাচনী কার্যক্রমে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে। তবে, এটি স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করতে পারে যা ভবিষ্যতে রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে প্রভাব ফেলতে পারে।