close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

সাতক্ষীরায় দুই সন্তানের জননীকে হত্যার অভিযোগ: স্বামীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা avatar   
সাতক্ষীরায় দুই সন্তানের জননীকে হত্যার অভিযোগে স্বামীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, এটি পরিকল্পিত হত্যা..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:

সাতক্ষীরায় দুই সন্তানের জননী শামীমা খাতুনকে শ্বাস রোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে, যা প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা হিসেবে প্রচার করা হয়েছিল। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট'২৫) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তোলেন নিহতের চাচা আনোয়ার হোসেনসহ অন্যান্য নিকট আত্মীয়রা। তারা জানান, খুলনার কয়রা থানার আমতলা গ্রামের হাফিজুর রহমান সানার মেয়ে শামীমার বিয়ে হয়েছিল সাতক্ষীরা সদর উপজেলার জোড়দিয়া গ্রামের মোক্তার শেখের ছেলে ফেরদৌস শেখের সাথে। প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর আগে তাদের বিয়ে হয় এবং তাদের একটি ছেলে ও মেয়ে রয়েছে।

নিকট আত্মীয়দের দাবি, স্বামীর পরকীয়ার কারণে গত দুই বছর ধরে শামীমার সংসারে অশান্তি চলছিল। মঙ্গলবার সকাল নয়টার দিকে শামীমার শ্বশুর-শ্বাশুড়ির মাধ্যমে তারা জানতে পারেন যে, শামীমা গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এই খবর শুনে তারা দ্রুত সাতক্ষীরার জোড়দিয়ায় যান এবং শামীমার লাশ বারান্দায় শোয়ানো অবস্থায় দেখে সন্দেহ প্রকাশ করেন। তাদের মতে, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা।

শামীমার চাচা আনোয়ার হোসেন সানা সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানিয়েছেন, অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে এবং তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

এদিকে, এ ঘটনার পর স্থানীয় মহলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, এ ধরনের ঘটনা গৃহহিংসারই একটি প্রমাণ যা সমাজে নারীদের উপর অত্যাচার ও নির্যাতনের একটি নির্মম উদাহরণ। সমাজকর্মীরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং প্রকৃত দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ ঘটনায় যদি সত্যিই হত্যা প্রমাণিত হয়, তবে এটি কেবলমাত্র ব্যক্তিগত সম্পর্কের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না বরং বৃহত্তর সামাজিক এবং আইনি ব্যবস্থারও একটি পরীক্ষা। এ ধরনের ঘটনা নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তাকে আবারও সামনে এনেছে।

এই ঘটনার ভবিষ্যৎ প্রভাব নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি যদি হত্যা হিসেবে প্রমাণিত হয়, তাহলে আইনগত দিক দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা পুনরাবৃত্তি না ঘটে। সমাজে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং গৃহহিংসার বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া উচিত।

No comments found