শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:
সাতক্ষীরার মাহমুদপুর গ্রামের একটি ঘটনা বর্তমান সময়ে আলোচিত বিষয়ে পরিণত হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে যে, সাফুল্লাহ ও হাবিবুল্লাহ নামের দুই ব্যক্তি তাদের চাচাতো ভাইদের পৈত্রিক সম্পত্তির উপর নির্মিত ঘরবাড়ি ও পোল্ট্রি খামার জোরপূর্বক দখল ও ভাংচুর করে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে যখন সদর উপজেলার মাহমুদপুর গ্রামের মোঃ আবু বকর মোড়লের ছেলে এবং জামায়াতের ওলামা বিভাগের সদর শাখার সেক্রেটারী মাওলানা মোঃ আব্দুল কুদ্দুস সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বিবৃতিতে মাওলানা মোঃ আব্দুল কুদ্দুস জানান, ৫ আগস্ট রাত ১টার দিকে সাফুল্লাহ ও হাবিবুল্লাহ তার দুটি পোল্ট্রি খামার থেকে ৬০ হাজার টাকার ২০০টি মুরগি এবং খামার সংলগ্ন মুরগির খাদ্যের ঘর থেকে ৪৯,৫০০ টাকার ১৫ বস্তা খাদ্য লুট করে নিয়ে যায়। এছাড়া, খাদ্যের ঘরে থাকা বাক্স থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা লুট করা হয়। তারা খামার দুটি ভাংচুর করে মোট ৫ লাখ ১০ হাজার টাকার সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত করে।
এ ঘটনায় মাওলানা কুদ্দুসের ছোট ভাই ইয়াকুব আলী বাদী হয়ে ১৩ আগস্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে। পলাতক থেকেও তারা বিভিন্নভাবে চাঁদা দাবি করছে এবং চাঁদা না দিলে খুন জখমের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মাওলানা কুদ্দুস।
আদালতের রায় অনুযায়ী, জমি নিয়ে করা মামলায় গত বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি কুদ্দুসদের পক্ষে রায় দেওয়া হয় এবং সেখানে স্থির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু অভিযুক্তরা আদালতের রায় অমান্য করে ১৩ আগস্ট জোরপূর্বক পোল্ট্রি খামার ও ঘরবাড়ি ভাংচুর করে। মাওলানা কুদ্দুস অভিযোগ করেন যে, অভিযুক্তরা এতই হিংস্র যে, তারা এলাকার কেউকেই ভয় পায় না এবং বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে।
এ ঘটনায় মাওলানা কুদ্দুস স্থানীয় প্রশাসন, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে মাওলানা কুদ্দুসের সঙ্গে তার দুই ভাই আবু তাহের ও ইয়াকুব আলী এবং তাদের পিতা আবু বকর মোড়ল উপস্থিত ছিলেন।
এই ঘটনা স্থানীয় সমাজের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে এবং এর প্রভাব সমাজে দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছে এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। সমাজে এমন ঘটনা প্রতিরোধে স্থানীয় প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকা অত্যন্ত জরুরি।