close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

সাতক্ষীরায় মানবাধিকার ও আইনি সচেতনতা বৃদ্ধিতে কমিউনিটি লিগ্যাল ক্যাম্প..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা avatar   
সাতক্ষীরায় নাগরিকতা প্রকল্পের আওতায় কমিউনিটি লিগ্যাল ক্যাম্পের মাধ্যমে বিনামূল্যে আইনি পরামর্শ প্রদান করা হলো..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:

সাতক্ষীরায় 'নাগরিকতা প্রকল্প' এর অধীনে একটি বিশেষ কমিউনিটি লিগ্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা মানবাধিকার ও আইনি সচেতনতা বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এই ক্যাম্পটি 'স্বদেশ সংস্থা'র বাস্তবায়নে এবং 'আইন ও সালিশ কেন্দ্র' (আসক) এর সহযোগিতায় আয়োজন করা হয়। অর্থায়ন করেছে 'জি এফ এ কনসালটিং গ্রুপ জিএমবি এইচ'। এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো স্থানীয় নারী, পুরুষ এবং অন্যান্য প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে জবাবদিহিতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতি প্রসারিত করা।

গত বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট ২০২৫) বিকেল ৪টায় সাতক্ষীরার সদর উপজেলার ১ নং বাঁশদহা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড মেম্বার মোছাঃ ছাবিনা ইয়াছমিনের সভাপতিত্বে ইউনিয়ন পরিষদ সভাকক্ষে এই লিগ্যাল ক্যাম্প আয়োজন করা হয়। এতে বিনামূল্যে আইনগত পরামর্শ নিতে এলাকার শতাধিক নারী এবং সাধারণ জনগণ উপস্থিত ছিলেন।

অ্যাডভোকেট মোঃ আকরাম আলী, সাতক্ষীরা জেলা জজ কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী, এই ক্যাম্পে বিভিন্ন আইনি বিষয়ের উপর পরামর্শ প্রদান করেন। উপস্থিত ভুক্তভোগীরা জমি-জমা, পারিবারিক আইন, নারী নির্যাতন এবং অন্যান্য সামাজিক ও আইনি বিষয়ে পরামর্শ গ্রহণ করেন।

এই লিগ্যাল ক্যাম্পের আয়োজন ও পরিচালনায় ছিলেন নাগরিকতা প্রকল্পের প্রোগ্রাম অফিসার মোঃ আজাহারুল ইসলাম, প্যারালিগ্যাল অফিসার মোঃ শরিফুল ইসলাম এবং সিভিক কমিটির সদস্য তহমিনা প্রমুখ। তাদের সমন্বয়ে ক্যাম্পটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়।

এ ধরনের উদ্যোগ স্থানীয় জনগণের মধ্যে আইনি সচেতনতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে এবং তাদেরকে আইনের যথাযথ ব্যবহার সম্পর্কে অবগত করতে পারে। এর ফলে সমাজে মানবাধিকার চেতনা আরও সুদৃঢ় হবে এবং আইনগত জটিলতার ক্ষেত্রে তারা সহায়তা পাবেন।

প্রকল্পের আয়োজকরা জানান, এই ধরনের ক্যাম্পগুলো নিয়মিতভাবে আয়োজন করা হবে যাতে স্থানীয় জনগণ আইনি সহায়তা পেতে পারে এবং তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে পারে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সমাজে মানবাধিকার ও আইনি ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং প্রকল্পের আয়োজকরা বিশ্বাস করেন, এই ধরনের কমিউনিটি উদ্যোগের মাধ্যমে সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মান উন্নত করা সম্ভব হবে এবং তারা সচেতন নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে। ভবিষ্যতে আরও বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে এই প্রকল্পটি সম্প্রসারিত হবে।

No comments found