শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:
সাতক্ষীরার তালা সাস ট্রেনিং অ্যান্ড রিসোর্স সেন্টারের হলরুমে সোমবার (১১ আগষ্ট'২৫) সকালে "জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়ানো ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ" প্রকল্পের এনিমেটর রিফ্রেশ ট্রেনিংয়ের উদ্বোধন করা হয়। এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে সাতক্ষীরা উন্নয়ন সংস্থা (সাস) এবং সহযোগিতায় ছিল স্ট্রমী ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাস-এর পরিচালক শেখ ইমান আলী। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি, খুলনার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ মনিরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা উন্নয়ন প্রচেষ্টার নির্বাহী পরিচালক শেখ ইয়াকুব আলী, সাউথইস্ট ব্যাংক সাতক্ষীরা শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ রাজিব আহমেদ, সাস-এর অ্যাডমিন অফিসার সাইফুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক (এম এফ) সাধন দাস এবং আরএমটিপি প্রকল্পের ফোকাল পার্সন বি এম হাবিবুর রহমান হাবিব।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং তার সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন। শেখ ইমান আলী উল্লেখ করেন, "জলবায়ু পরিবর্তন একটি বৈশ্বিক সমস্যা এবং এর প্রভাব আমাদের দেশেও স্পষ্ট। এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা স্থানীয় জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাই।"
মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, "এই ধরনের উদ্যোগ শুধুমাত্র পরিবেশ সংরক্ষণেই নয়, বরং স্থানীয় অর্থনীতির সঠিক ব্যবস্থাপনায়ও সহায়ক হতে পারে। ব্যাংকিং খাত থেকে আমরা সব সময়ই এমন উদ্যোগকে সমর্থন দিয়ে থাকি।"
শেখ ইয়াকুব আলী তাঁর বক্তব্যে বলেন, "জলবায়ুর সাথে খাপ খাওয়াতে আমাদের আরও গবেষণা ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রম চালাতে হবে। এই ট্রেনিং স্থানীয় জনগণকে সচেতন করবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে মোকাবেলায় প্রস্তুত করবে।"
অনুষ্ঠানে অন্যান্য উপস্থিত ব্যক্তিরা তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন এবং প্রকল্পের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন। প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোঃ ওবায়দুল হক বলেন, "আমরা আশা করি যে এই প্রশিক্ষণ স্থানীয় জনগণের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।"
এই প্রকল্পের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণকে জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার কৌশল শেখানো হবে এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। স্ট্রমী ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এবং সাস-এর যৌথ উদ্যোগে এই প্রকল্পের সাফল্য কামনা করা হয়।
এই ধরনের প্রকল্পের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণকে সচেতন করে তোলা এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা সম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ভবিষ্যতে এমন আরও প্রকল্পের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়।