সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে সাড়ে ১০ লক্ষ টাকার ভারতীয় ঔষধ ও শাড়ি জব্দ..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা avatar   
সাতক্ষীরায় সীমান্ত এলাকা থেকে বিজিবির অভিযানে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় ঔষধ ও শাড়ি জব্দ করা হয়েছে..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:

সাতক্ষীরার দুটি উপজেলার সীমান্ত এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বিশেষ অভিযান চালিয়ে প্রায় সাড়ে ১০ লক্ষ টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ ও শাড়িসহ বিভিন্ন চোরাচালান পণ্য জব্দ করেছে। এই অভিযানটি সাতক্ষীরা সদর ও কলারোয়া উপজেলার পদ্মশাখরা, ভোমরা, বৈকারী, তলুইগাছা, ঝাউডাঙ্গা, কাকডাঙ্গা, মাদরা, হিজলদী, সুলতানপুর ও চান্দুরিয়া বিওপির আওতাধীন বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা থেকে পরিচালিত হয়।

বুধবার (০৯ জুলাই '২৫) বিজিবি বিভিন্ন বিওপির মাধ্যমে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায়। তলুইগাছা বিওপির আভিযানে চারাবাড়ি আমবাগান থেকে ১৯ বোতল ভারতীয় পান্স মদ এবং পদ্মশাখরা বিওপির আভিযানে দাসপাড়া থেকে ৩৫ হাজার টাকার ভারতীয় ঔষধ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ভোমরা বিওপির আভিযানে লক্ষীদাড়ি থেকে ৭০ হাজার টাকার ঔষধ জব্দ করা হয়। বৈকারী বিওপির অভিযানে সদর থানা এলাকা থেকে ৩৫ হাজার টাকার ঔষধ এবং ঝাউডাঙ্গা বিশেষ ক্যাম্পের অভিযানে চেকপোস্ট এলাকা থেকে ৭০ হাজার টাকা মূল্যের ঔষধ জব্দ করা হয়।

কলারোয়া উপজেলার চান্দুরিয়া বিওপির আভিযানে কুলবাগান থেকে ১০০ বোতল ভারতীয় পান্স মদ, কাকডাঙ্গা বিওপির অভিযানে কড়াগাছি ও গেড়াখালী থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার ভারতীয় ঔষধ ও শাড়ি, মাদরা বিওপির অভিযানে গেড়াখালী থেকে ৭০ হাজার টাকার ঔষধ, হিজলদী বিওপির অভিযানে বেড়ালী থেকে ১ লাখ ৫ হাজার টাকার ঔষধ, সুলতানপুর বিওপির অভিযানে সুলতানপুর পাকা রাস্তা থেকে ৭০ হাজার টাকার ঔষধ এবং চান্দুরিয়া বিওপির আভিযানে গোয়ালপাড়া থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকার ঔষধ জব্দ করা হয়।

বিজিবি অভিযানের সময় কোন চোরাকারবারীকে আটক করতে সক্ষম হয়নি। সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোঃ আশরাফুল হক জানান, শুল্ককর ফাঁকি দিয়ে এই চোরাচালান পণ্য ভারত থেকে বাংলাদেশে আনা হচ্ছিল। জব্দকৃত পণ্য সাতক্ষীরা কাস্টমসে জমা দেয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। মাদকদ্রব্য সমূহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে সাধারণ ডায়েরি করে পরবর্তীতে জনসম্মুখে ধ্বংসের জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে।

এই ধরনের চোরাচালান কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে বিজিবি এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান রোধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। তবে, স্থানীয় জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সহযোগিতার মাধ্যমে চোরাচালান কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা সম্ভব হতে পারে।

Inga kommentarer hittades