close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে ৭ লাখ টাকার ভারতীয় মদ ও শাড়ি জব্দ..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা avatar   
সাতক্ষীরায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) প্রায় ৭ লাখ টাকার ভারতীয় মদ, শাড়ি ও ঔষধ জব্দ করেছে। অভিযানে কোনো চোরাকারবারী আটক হয়নি..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:

সাতক্ষীরার সীমান্ত এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) একটি সফল অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ৭ লাখ ২৫ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় মদ, শাড়ি এবং ঔষধ জব্দ করেছে। শুক্রবার, ১৫ আগস্ট ২০২৫, সাতক্ষীরা সদর ও কলারোয়া উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা থেকে এসব মালামাল জব্দ করা হয়।

### ঘটনাস্থলের বর্ণনা

অভিযানটি পরিচালিত হয় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুশখালী, বৈকারী, তলুইগাছা, গাজীপুর ও পদ্মশাখরা বিওপির আওতাধীন সীমান্ত এলাকায়। এছাড়া, কলারোয়া উপজেলার কাকডাঙ্গা, মাদরা, হিজলদী ও চান্দুড়িয়া বিওপির আওতাধীন এলাকায়ও অভিযান চালানো হয়। এসময় প্রাপ্ত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবির বিশেষ আভিযানিক দলগুলো একাধিক স্থানে অভিযান পরিচালনা করে।

### জব্দকৃত মালামাল

বিজিবি জানায়, কুশখালী বিওপির একটি দল শ্মশ্বান নামক স্থান থেকে ৭০ হাজার টাকার ভারতীয় মদ জব্দ করে। বৈকারী বিওপির দল ছয়ঘরিয়া থেকে ৩৫ হাজার টাকার মদ এবং তলুইগাছা বিওপির দল তেতুলবাড়ি থেকে ৭০ হাজার টাকার শাড়ি জব্দ করে। এছাড়া, গাজীপুর বিওপির দল অলির ঘর থেকে ৩৫ হাজার টাকার ঔষধ এবং পদ্মশাখরা বিওপির দল দাসপাড়া থেকে ৭০ হাজার টাকার ঔষধ জব্দ করে।

কলারোয়া উপজেলায় কাকডাঙ্গা বিওপির দল গেড়াখালী মাঠ থেকে ৪০ বোতল ভারতীয় মদ ও কাকডাঙ্গা থেকে ১ লাখ ৫ হাজার টাকার শাড়ি এবং ঔষধ জব্দ করে। মাদরা বিওপির দল ভাদিয়ালী থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকার মদ এবং হিজলদী বিওপির বড়ালী থেকে ৩৫ হাজার টাকার ঔষধ জব্দ করে। চান্দুড়িয়া বিওপির গোয়ালপাড়া থেকে ১ লাখ ৫ হাজার টাকার ঔষধ জব্দ করা হয়।

### বিজিবির বক্তব্য

বিজিবি সাতক্ষীরাস্থ ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মোঃ আশরাফুল হক জানান, জব্দকৃত মালামাল সাতক্ষীরা কাস্টমসে জমা রাখা হয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে সাধারণ ডায়েরি করে মদগুলো জনসম্মুখে ধ্বংসের জন্য বিজিবি স্টোরে জমা রাখা হয়েছে।

### প্রেক্ষাপট ও বিশ্লেষণ

সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান একটি দীর্ঘদিনের সমস্যা হিসেবে বিদ্যমান। বিজিবির নিয়মিত নজরদারি ও অভিযানের ফলে চোরাচালান কিছুটা কমলেও, চোরাকারবারীরা নতুন কৌশল প্রয়োগ করে অবৈধভাবে পণ্য আনার প্রচেষ্টা চালিয়ে যায়। সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা এবং স্থানীয় জনগণের সচেতনতা বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি।

### ভবিষ্যৎ প্রভাব

এই ধরনের অভিযান চোরাচালান প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে, চোরাচালান সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে হলে সীমান্ত এলাকায় প্রযুক্তিগত নজরদারি এবং স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় বাড়ানো প্রয়োজন। বিজিবির এই সফল অভিযান চোরাচালানিদের মধ্যে একটি সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করবে এবং সীমান্ত এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

No comments found