close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

সাতক্ষীরায় বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ ও শিক্ষার মানোন্নয়নে অভিভাবক সমাবেশ..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা avatar   
সাতক্ষীরায় ডিবি গার্লস হাইস্কুলে শিক্ষার মানোন্নয়ন ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর-ব্রহ্মরাজপুর (ডিবি) গার্লস হাইস্কুলে শিক্ষার মানোন্নয়ন, ঝরেপড়া শিক্ষার্থী হ্রাস এবং বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে এক অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৮ আগস্ট বিদ্যালয়ের মিলনায়তনে আয়োজিত এই সমাবেশে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং স্থানীয় বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. এমাদুল ইসলাম।

প্রধান শিক্ষক এমাদুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, “বর্তমান সময়ে আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে ধরে রাখা এবং মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা। অনেক শিক্ষার্থী প্রাথমিক স্তরের পর ঝরে পড়ছে কিংবা বাল্যবিবাহের শিকার হচ্ছে। এ অবস্থার পরিবর্তনে পরিবার, বিদ্যালয় ও সমাজের সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন। শিক্ষকের পাশাপাশি অভিভাবকদের সচেতন ও দায়িত্বশীল হতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিতি, পাঠ গ্রহণে মনোযোগ এবং অভিভাবকদের নিয়মিত খোঁজখবরই একজন শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ গড়ার প্রধান চাবিকাঠি। আমরা চাই প্রত্যেক শিক্ষার্থী যেন তার স্বপ্নের পথে এগিয়ে যেতে পারে।”

অনুষ্ঠানে সহকারী শিক্ষক এসএম শহীদুল ইসলামের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক অনুজিত কুমার মন্ডল, সিনিয়র শিক্ষক মো. নজিবুল ইসলাম প্রমুখ। তাঁরা বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন এবং শিক্ষার্থীদের নিয়মিত স্কুলে পাঠাতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান।

সমাবেশে অংশগ্রহণকারী অভিভাবকরাও বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান, পরিবেশ ও শিক্ষকদের আন্তরিকতা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। তারা শিক্ষকদের পাশে থেকে নিজেদের সন্তানদের আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতি দেন।

এই ধরনের অভিভাবক সমাবেশ শুধু বিদ্যালয়ের পরিবেশ উন্নয়নে নয়, শিক্ষার্থী ও সমাজের সামগ্রিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে, সাতক্ষীরার মতো এলাকায় যেখানে শিক্ষার মানোন্নয়ন ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, সেখানে এই উদ্যোগগুলো আরও বেশি প্রাসঙ্গিক।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বিদ্যালয় পর্যায়ে এমন ধরনের সচেতনতামূলক সমাবেশ সমাজে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলে। অভিভাবকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং শিক্ষকদের দায়িত্বশীলতা একটি সুষম শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে সহায়ক হতে পারে। শিক্ষার্থীদের শিক্ষার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে এবং শিক্ষার মান উন্নয়নে এই ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তারা।

No se encontraron comentarios