শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:
সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার ১০ নং প্রতাপনগর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড কমিটি বাতিল এবং পুনরায় ভোটের মাধ্যমে কাউন্সিল করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। শনিবার (২৩ আগস্ট ২০২৫) বিকেলে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ১০ নং প্রতাপনগর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি পদপ্রার্থী মো: মুনজুর হোসেন।
মুনজুর হোসেন তার লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, গত ২০ আগস্ট ২০২৫ তারিখে আশাশুনি উপজেলার ১০ নং প্রতাপনগর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের হিজলিয়া, কোলা ওয়ার্ড সম্মেলনের মাধ্যমে ভোট গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু সম্মেলনে হাবিবুর রহমানকে সভাপতি, মোঃ আঃ বারিককে সাধারণ সম্পাদক এবং অলিউর রহমান গাজীকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা করা হয়। এই সম্মেলনে অন্যান্য প্রার্থীদের অংশগ্রহণের সুযোগ না দিয়ে ভোট গ্রহণের স্থান পরিবর্তন করে ০৪ নং ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে অধিকাংশ ভোটার এবং পোলিং এজেন্টদের উপস্থিতি ছিল না।
মুনজুর হোসেন আরও বলেন, ভোট গ্রহণের পূর্ব মুহূর্তে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা কিছু সংখ্যক ভোটার এবং ভোটার বিহীন লোকদের জড়ো করে অন্যত্র ভোট প্রদান করেন। এই পরিস্থিতিতে তাদের পোলিং এজেন্ট এবং অধিকাংশ তালিকাভুক্ত ভোটার উপস্থিত না থাকায় তারা ভোটের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক প্রত্যেকেই ৬২টি করে ভোট পেয়েছেন বলে ঘোষণা করা হয়, যা নিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা উক্ত কমিটি বাতিল এবং পুনরায় ভোট গ্রহণের মাধ্যমে কমিটি গঠনের জন্য জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের কাছে আহ্বান জানান। এই সময় উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আমানুল্লাহ আমান, সাংগঠনিক সম্পাদক পদপ্রার্থী রফিকুল ইসলাম এবং প্রতাপনগর ইউনিয়নের সাবেক স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মনি।
এই ঘটনা স্থানীয় রাজনৈতিক পরিবেশে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে, যা ভবিষ্যতে বিএনপির স্থানীয় নেতৃত্বের স্থিতিশীলতায় প্রভাব ফেলতে পারে। ভোটারদের অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়া এবং ভোটের স্থান পরিবর্তন নিয়ে এই ধরনের অভিযোগ সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে অনাস্থা তৈরি করেছে। এ বিষয়ে জেলা বিএনপি কিভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে এবং এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সমাধান করবে, তা দেখার বিষয়। এর ফলে সাতক্ষীরার রাজনৈতিক পরিস্থিতি কীভাবে পরিবর্তিত হবে তা ভবিষ্যতে স্পষ্ট হবে।